সিলিকন ভ্যালীর গুগলে কেমন আছেন বাংলাদেশী প্রযুক্তিবিদরা

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছেন ১ কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশী। এই বিশাল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে আছেন অসংখ্য মেধাবী মানুষ যাদের অনেকের রয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাফল্য।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছেন ১ কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশী। এই বিশাল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে আছেন অসংখ্য মেধাবী মানুষ যাদের অনেকের রয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাফল্য। বিশ্বের প্রযুক্তি রাজধানী সানফ্রান্সকোর সিলিকন ভ্যালীর বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও রয়েছে বিপুল সংখ্যক মেধাবী বাঙ্গালী। বিশ্ববিখ্যাত অনলাইন সার্চ ইঞ্জিন গুগলে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন বাঙ্গালী প্রযুক্তিবিদ। তাঁদের একজন সফল বাংলাদেশী প্রযুক্তিবিদ শিশির খান।

Your browser doesn’t support HTML5

গুগলপ্লেক্স

গুগল ম্যাপ তৈরী ও উন্নয়ন করে শুধু গোটা পৃথিবীকে নয়, মহাবিশ্বকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছেন যারা; বিশ্বের হাজার কোটি মানুষের মধ্যে হাতে গোনা সেই মেধাবী কয়েকজনের একজন হচ্ছেন শিশির খানের। বিশ্বের সর্ববৃহৎ, সর্বপ্রথম অনলাইন সার্চ প্রতিষ্ঠান, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লাইভ এনসাইক্লোপিডিয়া, সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডার গুগলের সঙ্গে তিনি রয়েছেন গোড়া থেকেই।

শিশির খান

পৃথিবীর আইটি রাজধানী সান ফ্রান্সিসকোর সিলিকন ভ্যালিতে অন্যান্য আইটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিশাল একটি এলাকা জুড়ে গুগলপ্লেক্স। প্রবেশ পথেই সারি সারি পাম গাছ। তার মাঝখান দিয়ে সামনে এগুলেই ইস্পাত আর কাঁচে ঘেরা অনেকগুলো বিল্ডিং; আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি। ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর মাঝে গুগল রঙ্গে রাঙ্গানো বর্ণিল বাইসাইকেল। গুগলার এবং পর্যটকদের সুবিধার্থে এই ব্যবস্থা।

মৃদুভাষী, তরুণ প্রযুক্তিবিদ শিশির খান গুগুল আর্থ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ৬ বছর অন্যদের পাশাপাশি গুগল আর্থ উন্নয়নে কাজ করেন। ঘরে বসে গুগল আর্থ দিয়ে যে কোনো স্থানের তথ্য ও ছবি পাওয়া যায়। সিলিকন ভ্যালীর গুগল অফিসে বসে শিশির খান দেখালেন বাংলাদেশের সংসদ ভবনসহ অনেক স্থান।

শুরুর দিকে অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে গুগল কেমন ছিলো এ্যালবাম থেকে তার কিছু পুরোনো দেখালেন তিনি। বললেন তখন গুগলের জন্যে ব্যবহৃত পুরো ইন্টারনরনেট আজকের দিনে ১০ মিনিটের ফোরকে ভিডিও করা যাবে না। সেই সময়কার ডিসপ্লে বোর্ডের এক এক র‍্যাকে দুই ধরনের স্টোরেজ করে করে কিভাবে মাদারবোর্ড, হার্ডড্রাইভ রাখা হতো তা দেখালেন। তখন মাত্র ৮০ গিগাবাইট ইন্টারনেটে শুরু হয় গুগলের যাত্রা। তবে ইন্টারনেট ক্রমে দ্রুত গতি লাভ করে। জানালেন গুগল নিজে এসব হার্ডড্রাইভ বানায়। ইন্টারনেট ট্রাফিক দেখার জন্য বোর্ড করে কিভাবে দেখা হতো ম্যানুয়ালী সেসব ঘুরিয়ে দেখালেন।

শিশির খান তার গুগলার হওয়ার গল্প বলতে গিয়ে শুরু করলেন তরুণদের জন্য কেনো গুগল স্বপ্নের কর্মক্ষেত্র। বললেন সৃষ্টিশীল কাজে পারদর্শীদেরকে কোনো ধরনের চাপ বা ধমক না দিয়ে কাজ করতে উৎসাহ যোগানো হয় গুগলে।

কোন সময়সীমা নেই, ধরাবাধা কাজের টাইম নেই, পোষাক নেই, গুগলের বেশীরভাগ কর্মীর ক্ষেত্রে জন্য একেবারে নির্ধারিত কোনো রুম বা ডেস্ক নেই, ক্যাজুয়াল কাজের পরিবেশ তাদের। কাজগুলৌ প্রকল্প ভিত্তিক, এ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক। যার যার প্রজেক্ট নিজের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে তাকেই। বলা যায় একেবারেই স্বাধীন, আবার একেবারেই পরাধীন। নিজের প্রকল্প নিজের নির্ধারণ করা সময়ে করা; মানে স্বাধীন আবার পরাধীন।

শিশির জানান গুগলে প্রথম যারা কাজে ঢোকেন তাদেরকে বলা হয় গুগলার হতে হলে প্রথম চার সপ্তাহে ১৫ পাউন্ড ওজন বাড়াতে হবে। এতো খাবার থাকে বিভিন্ন ক্যাফেতে। নানা ধরনের কফি, রেগুলার খাবার। যানবাহনের ব্যবহস্থা আছে। ফ্রি গাড়ী্ এক্সারসাইজ, ইন্ডিয়ান ড্রান্স, ইয়োগা, ভারতনাট্যম। কাজের বিষাদ কমাতে ম্যাসেজ, যোগ ব্যায়াম করে ইনার স্ট্রেসম কমানো হয়। চুল কাটা, বাইক ফিক্স, চাকু ধার।

গুগলের বিশাল ক্যাম্পাস সবার জন্য উন্মুক্ত। পায়ে হেঁটে বা নিজের গাড়িতে করে আপনমনে যে কেউ ঘুরে দেখতে পারে। প্রাত্যহিক জীবনের ভার্চুয়াল জগতে, তথ্য পেতে যাকে ছাড়া চলে সে হচ্ছে গুগল।

সারা ক্যাম্পাসে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে তরুণ-তরুণী। গুগলার’দের সজীব আর সৃষ্টিশীল রাখার নানা আয়োজন। বিচ ভলিবল, সুইমিং পুল, ইত্যাদি।

কথা বলতে বলতে শিশির খান বললেন গুগল শুরুর ইতিহাস। ১৯৯৮ সালে কিভাবে প্রথম গুগল শুরু হয় পল আল্টোর একটি গ্যারাজে সে ইতিহাস বললেন তিনি। বললেন প্রথম গুগল- ১৯৯৮ এ শুরু হয় পল আল্টোর গ্যারাজে। পরে এই চারটি ভবন দিয়ে যাত্রা বড় আকারে। গোটা গুগল ক্যাম্পাসে ঘুরলে চোখে পড়ে গুগলের চারটি প্রাইমারী কালার। হলুদ লাল সবুজ নীল। সবাই ইনফরমাল ড্রেসে চলাফেরা করে। পরিবেশগতভাবে গুগল খুবই সচেতন। ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর মাঝখানের পথগুলোয় একপাশে বাইকের রাস্তা সবুজ রং, অন্যপাশে হাটার জন্য। প্রত্যেক ভবনের ওপর রয়েছে সোলার প্যানেল। সেখানে যেটুকু বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তার মধ্যে সবটুকু লাগে না গুগলে। যেটুকু বাঁচে তা সিটিকে দিয়ে দেয়া হয়।

গার্ডেনিং করা হয় গুগলের গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে। ভলান্টিয়াররা যারা এসব গার্ডেনিং করেন তারা করে সবাই গুগলার। নানা রকমের ফুলের গাছ, সব্জী, ইত্যাদি হয় সারা বছরই প্রায়।

প্রশ্ন হচ্ছে, গুগলের লোকজন কাজ করে কখন। গুগলারদের কাজ প্রচলিত চাকরির মতো না, প্রকল্প ভিত্তিক। এক একটা প্রকল্প নিয়ে স্বাধীনভাবে এক একটি গুগলার দল কাজ করে নিজেদের সুবিধামতো। প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের দিনরাতের হিসাব থাকে না।

বর্তমানে গুগলের সার্চ এ্যাড মেশিন লার্নিং গুগল ব্রেইন- এ নেচারাল ল্যাংগুয়েজ আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়ে কাজ করছেন শিশির। কিভাবে গুগলার হলেন সে গল্প জানতে চাইলে তিনি বললেন দশম শ্রেনি পর্যন্ত বাংলাদেশে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে এসে স্কুল কলেজ শেষ করে গুগলে যোগ দেন তিনি। তারপর আর পেছনে ফেরার সময় হয়নি।

শিশির জানালেন, “আমি এখন কাজ করছি সার্চ এ্যাড মেশিন লার্নিং গুগল ব্রেইন বা নেচারাল ল্যাংগুয়েজ আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়ে। আপনি বাংলায় বলবেন আমি ইংরেজী বা যে কোনো ভাষায় কথা বলি- একজন আরেকজনকে বুঝতে পারবো। ইনস্ট্যান্ট ট্রান্সলেশন”। তিনি বললেন বাংলাদেশের পর যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার সাইন্স পড়ে গুগলে যোগ দেন তিনি।

গুগল ক্যাম্পাসের সর্বত্রই দেখা যায়, ‘গো গ্রিন’ ইনিশিয়েটিভ। একটি ভবন দেখিয়ে শিশির খান বললেন এই ভবনটি প্রথম নেয়ার সময় নির্মানকাজ অন্য রকম ছিল। পরে পাল্টানো হয়। পরিবেশ বান্ধব করা হয় পুরো ভবনটিকে। ফ্লোর, দরজা দেয়াল সব মুল কাঠামো ঠিক রেখে কিছু কিছু পরিবেশ বান্ধব করা হয়।

ক্যাম্পসের প্রত্যেক কর্নারে খাবার রাখা। গুগলের কো ফাউন্ডার সার্বে ব্রেন- বলতো প্রতি ১৫০ মিটারে খাবার থাকতে হবে। বললেন গুগলপ্লেক্সের প্রতিটি ভবনে ক্যাফেটরিয়া আছে। খাবার ক্যাফে। রয়েছে টেবিল-চেয়ার দিয়ে সাজানো অসংখ্য ইনডোর-আউটডোর ক্যাফেটেরিয়া। ক্যাফের সবকিছু ফ্রি গুগলজীবীদের জন্য। খাদ্য তালিকা কালার-কোডেড- সবুজ মানে স্বাস্থ্যকর, হলুদ মানে অতো স্বাস্থ্যকর নয়, ইত্যাদি।

বর্তমান গুগল সিইও সুন্দর পাচাই, আগের প্রধান সার্গে, ল্যারী এরিক সবাই জনপ্রিয় হয়েছিলেন তাঁদের ক্যাজুয়াল ব্যবহারের কারনে। তবে শিশির খান বললেন গুগলের নির্বাহীরা একটু শাই। মিডিয়ার সামনে আসতে চায় না দরকার না হলে।

ক্যাম্পেস হাটলে চোখে পড়ে অ্যান্ড্রয়েড স্ট্যাচু, আর্টওয়ার্ক, ভাস্কর্য গার্ডেন, বারবিকিউ ইয়ার্ড, টেনিস কোর্ট, ফিটনেস স্টেশন, সকার ফিল্ড, ড্রাইভারবিহীন গুগল ম্যাপের গাড়ি, গুগল স্যুভেনির শপ।

বিশ্বের বহু সংস্কৃতির এক মিলনমেলা গুগলপ্লেক্স। সকল প্রান্তের মানুষ এখানে কাজ করার মাধ্যমে একটি মিনি জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়েছে এটি। গুগলের ডাইভারসিটির কথা বললেন শিশির খান। সারা বিশ্বের নানা শ্রেনী জাতি ধর্ম বর্নের মানুষের মিলনমেলা এই গুগলপ্লেক্স।

গুগল ভবনের প্রথম ক্যাফেতে দাঁড়িয়ে বর্ননা দেয়ার সময় শিশির খান বললেন, “এখানে বড় আকারের ইভেন্ট হয়। কনভেনশন সেন্টার প্লাস ক্যাফে-ক্যাজুয়াল স্টাইলে হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আসেন এখানে, বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী ব্যাক্তিত্ব ড: ইউনুস আসেন এখানে”।

দেখালেন চার্লিস ক্যাফে। চার্লী ছিলেন গুগলের প্রথম শেফ। আগে সেলিব্রিটিদের রান্না করতেন। গুগলে যোগ দেয়ার পর রান্নার জন্যে কোনো বেতন নিতেন না, নিতেন স্টক। গুগলে কাজ করার সময় গুগলসহ আরো কিছু ষ্টক ছিল তার। সেই স্টকের দাম বাড়তে বাড়তে এক সময় চার্লী মাল্টিমিলিয়নেয়ার হন। পরে গুগলের চাকরী ছেড়ে নিজেই বড় ব্যবসা দেন। গুগলপ্লেক্সে তার নামেই রাখা হয়েছে ক্যাফে।

তিনি জানান গুগলে সব এ্যালাউড, শুধুমাত্র বিড়াল বাদে। বিড়াল আনার অনুমতি কেনো নেই সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই তার। ঘুরিয়ে দেখালেন টিপিক্যাল গুগলারদের অফিস ডেস্ক। গুগলপ্লেক্সেই রয়েছে গুগলারদের ক্যাশ ইনভেস্ট করার জন্য একটি আলাদা ভবন।

গুগল ক্যাম্পাসের বাইরের অংশে হাটাচলা বা বেড়ানোর জন্যে কারো কোনো অনুমতি লাগে না। তবে ভবনগুলোর ভেতরে প্রবেশ বা ক্যাফেটরিয়ায় যাওয়া বা অন্য কিছুর জন্যে কোনো না কোনো গুগলারের রেফারেন্স লাগে। যাদের তাও নেই, পুরো গুগল সম্পর্কে তাদেরকে এক নজরে আইডিয়া দেয়ার জন্যে রয়েছে গুগলপ্লেক্সেরই এক পাশে ‘গুগল ভিসিটর সেন্টার’। ভিসিউটর সেন্টারের একটি ফ্লোরেই পুরো গুগলপ্লেক্সের মিনি ভার্সন করে রাখা হয়েছে। রয়েছে গুগলে ভিসিট করতে আসা বিখ্যাত মানুষদের এ্যালবামের একটি বোর্ড।

ভিসিটর সেন্টারে কথা হল এক ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে। সারিকা নামের এক তরুণী মার সঙ্গে গুগল দেখতে এসেছে। কেমন লাগছে এই প্শ্নে সারিকা বললো, “আমি মনে করি আমার পুরো জীবনের সঙ্গে গুগল জড়িত। ১৯৯৮ এ গুগলের জন্ম, আমারো জন্ম। এখানে এসে বুঝতে পারি গুগলের মতো আমারো জীবনের পরিবর্তন হচ্ছে”।

সারিকার মা’কে একই প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন তিনি অভিভূত আপ্লুত, “এটি খুবই অবাক ব্যাপার যে, যে গুগল সারা জীনকে দখল করে নিয়েছে, ক্যাম্পাসে এসে মনে হচ্ছে তা অতি সাধারন একটি অফিস, অতি সাধারণ। আপনার এখানে এসে ঘুরতে ভয় ভয় লাগবে না, খুব কমফোর্টেবল লাগবে। এটি সত্যিই অপূর্ব অভিজ্ঞতা”।

গুগলে ৬০/৭০ জন বাংলাদেশী কাজ করলেও ভারতীয়, চীনসহ প্রযুক্তিতে যেসব দেশ বেশী ভালো করছে সেইসব দেশের লোক। তারাই গুগলে বেশী কাজ করে বলে জানান তিনি। তবে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন গুগলার রিক্রুট করতে শিশির খান। বললেন সেই অভিজ্ঞতার কথাও; “২০১৫ সালে ৭ জনকে ঢাকা থেকে রিক্রুট করি। সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শিক্ষার্থী আসে সেই চাকরীর মেলায়”।

তিনি বললেন গুগলে ভারতীয়দের সংখ্যা প্রচুর। কারন পৃথিবীতে ইন্টারনেট গ্রোথ চীন ভারত ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশী। সেজন্য ওইসব দেশ থেকে গুগলসহ অন্যাণ্য টেক কোম্পানীতে ওইসব দেশের মানুষ বেশি। সারা দুনিয়ায় ষাটটির মতো গুগল অফিস আছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর, ভারতের বাঙ্গালোর হায়দ্রাবাদ ও গউরগাও। তবে বাংলাদেশে গুগলের কোনো অফিস নেই। কারন বাংলাদেশে ইন্টারনেটের বাজার ছোট। ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ভালো না।

কেমন করে গুগলে চাকরি পেতে পারে সে প্রশ্নে শিশির বলেন গুগলে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন কিছু না। অংকে যারা ভালো তারা গুগলে কাজ করতে পারে। বড় স্বপ্ন দেখতে হবে, ক্রিয়েটিভ হতে হবে। প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স, এক্সসেল ইন কোডিং, টেল হাউ ইউ ক্যান হেল্প গুগল, বি স্পিরিটেড লাইক গুগল। তার বিশ্বাস বাংলাদেশের তরুণরা নিশ্চয় পারবে একদিন।