ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বর্তমান এমপি লেখক সাংবাদিক এম জে আকবর বলেছেন, গোটা দুনিয়াতেই এক ধরনের টেনশন চলছে। ভারত এর বাইরে নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব রেখেছে সংখ্যালঘুরা। তাদের ভোটেই হিসাবনিকাশ বদলে গেছে। ২৪ শে জুলাই সকালে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ও বর্তমান ভারতের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা হয় প্রবীণ এই সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদের সঙ্গে।
সংখ্যালঘু মুসলিমসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপির কোন দুরত্ব হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এম জে আকবর বলেন, যেকোন দেশেই সবকিছু স্বাভাবিক গতিতে চলবে, এমনটা মনে করার কোন কারন নেই। আমরা পৃথিবীতে থাকি, স্বর্গে নয়। মানুষের মাঝে টেনশন আছে এবং থাকবে। সবকিছু পারফেক্ট হওয়ার সুযোগই নেই। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের দিকে তাকান। সেখানকার পরিবর্তন আমাদের উপমহাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে। পরিস্থিতি যাই হোক, স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হবে। 'সঠিক'- এর মানে বুঝতে হবে।
এম জে আকবর বলেন, মানুষের রাজ্যে টেনশন থাকবে না তা কি করে হয়। ভারত ডেমোক্রেটিক দেশ। এখানে ডেমোক্রেসি নিয়ে টেনশন থাকবেই। সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার হচ্ছে একটা ইন্সটিটিউিশন। প্রতিটি নাগরিক সরকারকে সমর্থন দেবে, এটা মনে করার কারন নেই। ভোটের হিসাব নিকাশ সবসময় আলাদা হয়ে থাকে। রাজ্যের হিসাব নিকাশ এক ধরনের হয়, কেন্দ্রের হিসাব হয় আরেক ধরনের। বেঙ্গলের হিসাব নিকাশ যা হয়েছে সেটুকু আলাদা।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে একটি কথা মনে হচ্ছে ‘জিতলে হাজার বাপ, হারলে কেউ থাকে না’। আরেকটা বিষয় হলো, স্থানীয় ভোটের প্রভাব কেন্দ্রে কিছুটা পরে, আবার অনেক সময় পরেও না। এম জে আকবর ২০০৪ সালের উদাহরণ টেনে বলেন, তখন বাজপেয়ী সরকার ৫টি রাজ্যে জিতে খুশিতে কেন্দ্রে আগাম নির্বাচন দিয়ে দিলেন। কিন্তু সেই নির্বাচনে বাজপেয়ী হারলেন। আবার ২০১৪ ও ২০১৯ এ হিসাব-নিকাশ আলাদা হলো। আসলে সবকিছু নির্ভর করছে সেইসময়কার বাস্তবতার উপর। অনেক সময় আমরা বাস্তবতার বাইরে চলে যাই।
ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে এম জে আকবর বলেন, এই সম্পর্ক এখন সম্পূর্ণভাবে স্থিতিশীল। আমরা ইমোশনকে কমিয়ে বাস্তবতার দিকে জোর দিচ্ছি। সে বাস্তবতা হলো অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি। যৌথ সম্পর্ক বৃদ্ধি হয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর মধ্য দিয়ে। এখন দুই দেশের সম্পর্কে কোন বিতর্ক নেই।
চীনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সর্ম্পক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে এমজে আকবর বলেন, চীনের অর্থনৈতিক ফাঁদে পা দিয়ে অনেক দেশই এখন বিপদে আছে।