রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম: বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 'যুদ্ধক্ষেত্রে' যোগ দিয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ফাইল - রাজধানী আদ্দিস আবাবার একটি রাস্তায় ইথিওপিয়ার নাগরিকরা দেশের সামরিক সংঘর্ষের খবর সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিন পড়ছে। ৭ নভেম্বর ২০২০। (ছবি-এপি/ফাইল)

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বুধবার সম্মুখ সারিতে যোগ দিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে, যেখানে সরকারি বাহিনী টিগ্রায় অঞ্চলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে। এর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী এই সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধান এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশটির উত্তরে লড়াইয়ে হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে পড়েছে।

বিদেশী সরকারগুলি ক্রমবর্ধমান যুদ্ধের মধ্যে তাদের নাগরিকদের ঐ দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছে এবং আশঙ্কা করছে টিগ্রায় বিদ্রোহীরা রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ফানা ব্রডকাস্টিং কর্পোরেট জানিয়েছে, ২০১৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আবি, "এখন পাল্টা আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন" এবং "গতকাল পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।"

লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হওয়া সামরিক বাহিনীর একজন প্রাক্তন রেডিও অপারেটর, আবি কোথায় মোতায়েন আছেন তা স্পষ্ট নয়।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম লড়াইয়ের মাঠে তার ছবি প্রকাশ করেনি।কর্মকর্তারাও তার অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে তাতে সাড়া দেয়নি।

সম্মুখভাগে আবির লড়াই করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার গভীর রাতে সতর্ক করে বলে ইথিওপিয়ার গৃহযুদ্ধের "কোন সামরিক সমাধান নেই।"

পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, "আমরা সব পক্ষকে উস্কানিমূলক এবং জ্বালাময়ী মন্তব্য থেকে বিরত থাকার, নিজেদের সংযম করার, মানবাধিকারকে সম্মান করার, মানবিক সহায়তার অনুমতি দেয়ার এবং বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি।" অন্যান্য বিদেশী দূতরাও যুদ্ধবিরতির জন্য প্রবল চাপ দিচ্ছেন।এ বিষয়ে অগ্রগতির তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।