রবিবার ৬ই সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় উদ্বোধন করা হয়েছে নিউ ইয়র্ক বইমেলার ওয়েবসাইট। বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় দেয়া বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন যখন কোভিড গোটা বিশ্বকে প্রায় থামিয়ে দিয়েছে; মুক্তধারা তখনো বাংলা সংস্কৃতি বিকাশের চেস্টা করেই চলেছে। তার প্রমান ২৯তম বইমেলা। মুক্তধারা বাংলাদেশের বাইরে প্রথম বইমেলার আয়োজক। তার সাথে এবার জাতির পিতার জন্ম শত বার্ষিকী। সবকিছু থামলেও বইমেলা থামেনি। এটি অত্যন্ত আনন্দের যে এ বছর প্রথমবার ভার্চুয়ালি ১০ দিনের বইমেলা হবে। নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মুক্তধারা এর কৃতিত্বের দাবীদার। শিল্পী সাহিত্যিকরা সর্বদাই সহায়তা এতে করেন এবং করে যাবেন এই কামনা। "আমি ২৯তম বাংলা বইমেলার ওয়েবসাইটের উদ্বোধন ঘোষনা করছি"। ওয়েবসাইটটি- nyboimela.org
অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন লেখক হাসান ফেরদৌস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিত সাহা, লেখিকা সেলিনা হোসেন, ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফেরদৌস সাজেদিন, বাংলা একাডেমীর প্রধান হাবিবুল্লাহ সিরাজী, লেখক ও বিজ্ঞানী ড নুরুন নবী।
সেলিনা হোসেন বলেন বাংলা সংস্কৃতি প্রবাসে ধরে রাখার প্রয়াসের জন্য মুক্তধারাকে ধন্যবাদ। ২৯ বছর ধরে এটাকে সাজিয়ে নিজের শেকড়ের ধারক এই মুক্তধারা। প্রবাসে নতুন প্রজন্মকে বাংলা মনা করে গড়ে তুলছে মুক্তধারা। অনুবাদের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের দরবারে যাবে, আর তা যেনো মুক্তধার করে একই প্রত্যাশা রইলো।
বিশ্বজিত সাহা বলেন সম্মিলিত স্বপ্ন নিয়ে বইমেলার ওয়েবসাইট, নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সেতু বন্ধন করার লক্ষ্যে করা। ১৭ই মার্চ শিশু কিশোর মেলার সূত্র ধরে নিউ ইয়র্ক রাজ্য দিনটিকে বঙ্গবন্ধু দিবস করেছে। এসব বহু সময় ধরে করছি আমরা মুক্তধারার মাধ্যমে। আপনারা লেখক কবিরা সহায়তা করছেন। আমরা কভিডের সুবাদে নতুন ভাবে বইমেলা করতে চলেছি। বিশ্বের সব স্থান থেকে যাতে বই ও তথ্য পান সকলে সেজন্যে একটি প্ল্যাটফরম তৈরি করেছি। পৃথিবীর সব স্থান থেকে বই কিনতে পারবেন।