আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণের জন্য তাইওয়ানকে জায়গা করে দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এ কথা বলেন।ঐ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী -রাষ্ট্রদূতও উপস্থিত ছিলেন।
চীন তাইওয়ানকে জাতিসংঘের মতো বেশিরভাগ বৈশ্বিক সংস্থায় অংশ নিতে বাধা দেয়। চীন এই দ্বীপটিকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে এবং বলে যে এটি চীনা প্রদেশ। চীন আরও বলে রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা পাওয়ার মত কোন অধিকার তাইওয়ানের নেই।
বুধবার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি ভার্চুয়াল প্যানেলে কথা বলার সময়, তাইওয়ানে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আমেরিকান ইনস্টিটিউট ইন তাইওয়ান (এআইটি)-এর জেরেমি কর্নফোর্থ বলেন, প্রযুক্তিগত ভাবে শক্তিশালী তাইওয়ান তার প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে “সাধারণ কল্যাণের জন্য ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কর্নফোর্থ উল্লেখ করেন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদসহ বিভিন্ন সংস্থাগুলিতে অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ থেকে তাইওয়ানকে বিরত রাখা হয়েছে। তবে তিনি বলেন, এই ঘটনাটি এটিও তুলে ধরবে যে তাইওয়ান কিভাবে তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার এআইটির প্রকাশিত মন্তব্যে তিনি আরও বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আন্তর্জাতিক ভাবে জায়গা করে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
এআইটি জানিয়েছে, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী রাষ্ট্রদূত জেফরি প্রেসকট পরিশেষে এই মন্তব্য করেন তবে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
তাইওয়ানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোন আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তবে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ভাবে তার জোরালো সমর্থক এবং দ্বীপটির উপর চীনের চাপ সম্পর্কে নিয়মিত নিন্দা করে।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ ওয়ু একই অনুষ্ঠানে বলেন যে তাইওয়ান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এক "অপরিহার্য" সদস্য।
তার মন্ত্রক তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে ‘জাতিসংঘের মত সংস্থা থেকে তাইওয়ানকে অনুচিতভাবে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জাতিসংঘের পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়।”