বিএনপির টানা বৈঠক শেষ, আওয়ামী লীগের অধীনে ভোটে না যাওয়ার পক্ষে মত

আগামীতে রাজনৈতিক কৌশল কী হবে, এই ইস্যুতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক

আগামীতে রাজনৈতিক কৌশল কী হবে, এই ইস্যুতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের টানা তিন দিনের বৈঠক শেষ হয়েছে আজ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আন্দোলন কর্মসূচি ও বিগত দিনের ব্যর্থতা এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালে বৈঠকে অংশ নেন। ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা তিন দিন আলাদাভাবে বৈঠকে অংশ নেন ও কথা বলেন। আজ শেষ দিনে ছিল সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা।

বৈঠকে প্রতিদিনই অংশ নিয়েছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমানসহ শীর্ষ নেতারা।

দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বেশ কয়েকজন বক্তা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অংশগ্রহণকে ভুল সিদ্ধান্ত বলে মত প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে দ্বিতীয় সারির নেতারা সমালোচনাও করেন। তারা আগামী নির্বাচনে বাস্তবতা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো ভোটে না যাওয়ারও পক্ষে বক্তব্য রাখেন অনেকে।

নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের পক্ষেই তারা কথা বলেন। ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধরে রেখে আরও বড় পরিসরে ঐক্যের পক্ষেও মত প্রকাশ করা হয়। বৈঠকের শেষ দিনে তারেক রহমান দলের নেতাদের ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠক সম্পর্কে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, এই বৈঠকটি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বেগম খালেদা জিয়া আটকের পর এই প্রথম এমন বৈঠক হলো। টানা তিন দিন নেতারা তাদের অভিমত তুলে ধরেছেন। এ অভিমতের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বলেন, সব ধরনের বক্তব্য উঠে এসেছে।