বাইডেন: যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষা করবে

ফাইল - তাইওয়ানের মিরাজ 2000 যুদ্ধবিমান তাইপেইতে প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে জাতীয় দিবস উদযাপনের সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপর দিয়ে উড়ে যায়। ১০ অক্টোবর ২০২১।(ছবি-এপি/চিয়াং ইং-ইং)

বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষা করবে। তিনি বলেন, চীন নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করা দ্বীপটিকে রক্ষা করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকারী যে নীতি রয়েছে এমন মন্তব্যে তা ভঙ্গ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

সিএনএন টাউন হলে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষা করবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরে বাইডেন বলেন, "হ্যাঁ, আমরা এটি করার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।" চীনের সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে বেইজিং থেকে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর অভিযোগ করেছে দ্বীপটি।

যদিও ওয়াশিংটন আইনত তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার জন্য উপায় প্রদান করতে বাধ্য, তবে চীনের আক্রমণের ক্ষেত্রে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে কিনা সে ব্যাপারে তারা দীর্ঘদিন ধরে "কৌশলগত অস্পষ্টতার" নীতি অনুসরণ করে আসছে।

আগস্টে, বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, দ্বীপটিকে যদি আক্রমণ করা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সেটিকে রক্ষা করবে বাহ্যত প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য করার পরে তাইওয়ান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন হয়নি।

বাইডেন বলেন, ওয়াশিংটনের সামরিক শক্তি নিয়ে মানুষের চিন্তা করা উচিত নয় কারণ "চীন, রাশিয়া এবং বাকি বিশ্ব জানে বিশ্বের ইতিহাসে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে।"

বাইডেন বলেন, "আপনাদের যা চিন্তা করতে হবে তা হ'ল তারা এমন কার্যকলাপে জড়িত হবে কিনা যা তাদের এমন অবস্থানে নিয়ে যাবে যেখানে তারা গুরুতর ভুল করতে পারে।"

"আমি চীনের সঙ্গে স্নায়ু যুদ্ধ চাই না। আমি শুধু চাই চীন যেন বুঝতে পারে যে আমরা পিছু হটে যাচ্ছি না, আমরা আমাদের কোন মতামত পরিবর্তন করছি না।"

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং এই মাসে বলেন, ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় চলে এসেছে।তিনি বলেন, চীন ২০২৫ সালের মধ্যে "পূর্ণ মাত্রায়" আক্রমণ করতে সক্ষম হবে।

তাইওয়ান বলছে এটি একটি স্বাধীন দেশ এবং তারা তাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে।

চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাইওয়ান প্রসঙ্গটি সবচেয়ে স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।চীন ওয়াশিংটন ও তাইপে-এর মধ্যে, তার ভাষ্যমতে, ‘গোপন চুক্তির’ নিন্দা করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেন, তারা তাইওয়ানের সঙ্গে "শান্তিপূর্ণ পুনঃএকত্রীকরণের" চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে তারা ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির "বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচেষ্টার" পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।