বাংলাদেশ ফুটবল দলে প্রশংসিত অবস্থান করে নিয়েছে আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা। সমাজের অন্য পেশায় শক্ত অবস্থান এখনো করতে না পারলেও মেয়েদের ফুটবলে তারা ভালো করছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারীদের ক্যাম্পে ২৭ জেলার ৭০ জন ফুটবলার রয়েছেন। এরমধ্যে ১২ জন এসেছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে। এরমধ্যে আছেন সাঁওতাল দুইজন, চাকমা তিনজন, মারমা পাঁচজন এবং গারো দুইজন। এই ফুটবলারদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও ময়মনসিংহে।
সাঁওতাল আদিবাসী খেলোয়াড়রা হচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সোহাগি কিসকো, কোহাতি কিসকো। চাকমা ও মারমা ফুটবলাররা হচ্ছেন খাগড়াছড়ির মনিকা চাকমা, রাঙামাটির রিতু চাকমা ও গোলরক্ষক রূপনা চাকমা, মালা থুই মারমা, উমেলা মারমা, থুই নু মারমা, খাগড়াছড়ির আনুচিঙ মোগিনি, অনাই মোগিনি, ময়মনসিংহের দুই গারো খেলোয়াড় হচ্ছেন মারিয়া মান্ডা ও শিউলি। সাবেক নারী ফুটবলাররা হচ্ছেন গোলরক্ষক ক্রাইরি মারমা, তৃষ্ণা চাকমা, রূপালি চাকমা, সুইনু প্রু মারমা, মুইনু প্রু মারমা, জয়া চাকমা, শ্রাবণি চাকমা, মনিকা চাকমা সিনিয়র, উমাচিঙ মারমা, কবিনা চাকমা, নুসান প্রু মারমা।
বাংলাদেশে আদিবাসীরা সমাজের অবহেলিত বঞ্চিত অবস্থানে রয়েছে। তবে বাংলাদেশের জাতীয় দলে আদিবাসী নারীদের দাপুটে অবস্থান বাড়ছে। এরমধ্যে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচে তারা প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশীয় খেলার মাঠেও তারা খেলছে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে। শুরুতে ফুটবল ফেডারেশনকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়েছিল। এখন আর সেই অবস্থান নেই।
ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, "ফুটবলে মেয়েদের জয়ের ধারা ধরে রাখতে হলে আরও বেশি করে পেশাদার লীগে ক্লাবগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। ফুটবল ফেডারেশন জাতীয় আয়োজনগুলো করে থাকে। ক্লাবগুলোর দায়িত্ব অনেক বেশি। এখন অনেক ক্লাবই পেশাদার নারী ফুটবলারদের নিয়ে টিম করছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আদিবাসী মেয়েরা আরও ভালো করবে।"
জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার রেহানা পারভীন ও পিংকি জানান, "আদিবাসী মেয়েরা ভীষণ পরিশ্রমী। তারা শুরু থেকেই ফুটবলে ভালো করছে।"