বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ বা সিপিডি বলেছে করোনা মহামারির কারনে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা স্থবির হয়ে আছে।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির পর্যালোচনা সম্পর্কে সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় এক ধরনের অসমতা পরিলক্ষিত হচ্ছে যাতে দেখা যাচ্ছে বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনরুদ্ধারের কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চললেও মাঝারি এবং ক্ষুদ্র ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া অনেকটাই স্থবির হয়ে আছে। এই ধরনের অনুপাতহীন পুনরুদ্ধারের কারনে দেশের সার্বিক অর্থনীতির ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে সিপিডি বলেছে এর ফলে আয় বৈষম্যের সৃষ্টি হচ্ছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ওপর প্রভাব বিস্তার করছে এবং সর্বোপরি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছেনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ এবং আর্থিক সহায়তার ফলে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হলেও মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলো এর দ্বারা তেমন উপকৃত হয় নাই। এ প্রসঙ্গে সিপিডি এর সম্মানিত ফেলো ড. মস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হলে তা শুধু ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ করার তাগিদ দিয়েছেন। ঋণ খেলাপিদের নতুন করে ঋণ দেয়ার ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
প্রতিবেদনে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশে অন্তত ১০ লাখ টন চাল মজুদ রাখার প্রয়োজনিয়তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে গত বছর এই সময় চালের মজুদ ছিল ১৫ লাখ টন, এখন যা মাত্র ৭ লাখ টন। সামনের দিনগুলোর জন্য অন্তত ১০ লাখ টন চাল মজুদ রাখার প্রয়োজনিয়তার উল্লেখ করে সিপিডি চালের মিজুদের ঘাটতি পুরনের জন্য আমাদানির ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যেগের উপর জোর দিয়েছে।
Your browser doesn’t support HTML5