বাংলাদেশে করোনায় আবারও দৈনিক সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড 

ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্যে আসা লোকজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। ফাইল ফটো- রয়টার্স

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬৪ জন। এ নিয়ে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৮ হাজার ৪১৬ টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় আবারো সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৪ জন মারা গেছেন। এর আগে ৫ই আগস্ট সমসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ হাজার ১৬১ জনের মৃত্যু হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬৪ জন। এ নিয়ে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৮ হাজার ৪১৬ টি। এ সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৭ হাজার ৪২৪ টি। সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮২ লাখ ১২ হাজার ৪১ টি।

স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ২৬৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৫৪ জন আর নারী ১১০ জন। সবমিলিয়ে ১৫ হাজার ৩৮৪ জন পুরুষ আর ৭ হাজার ৭৭৭ জন নারী মারা গেছেন।

সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থান, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিধিনিষেধ শর্ত সাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবার বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় না আনা হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাদের মতে, লকডাউন তুলে দিলে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে অনীহা দেখা যায়। গণপরিবহন ও শপিংমলগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মানা হয় না।

ওদিকে টিকার সংকটে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসুচিতে ভাটা পড়েছে। ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে, ১২ই আগস্ট থেকে মডার্নার প্রথম ডোজ টিকা দেয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর আগে গত ১৩ই জুলাই থেকে সব সিটি করপোরেশনে মডার্নার টিকা দেয়া শুরু হয়।

টিকা নেয়ার জন্য মানুষের ব্যাপক আগ্রহ। রাত জেগে অনেকেই টিকার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। বিশেষ করে, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায়। স্বাস্থ্য দপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার খুরশীদ আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা ১৪ই আগস্ট বিশেষ টিকাদান কর্মসুচি শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা পরিকল্পনা করছি, যারা আগে নিবন্ধন করেছেন এবং এসএমএস’র জন্য অপেক্ষা করছেন তাদেরকে আগে টিকা দেয়া হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোভ্যাক্সের মাধ্যমে চীন থেকে সিনোফার্মের ১৭ লাখ টিকা এসেছে। বিমানবন্দরে এই টিকা গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।