বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন ৭৯ সাঁতারু

বাংলাদেশের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে ৭৯ জন সাঁতারু অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত কয়েকজন সফল হতে পারেননি। (ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন)

বাংলাদেশের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন সাতারুরা। ৭৯ জন সাঁতারু অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত কয়েকজন সফল হতে পারেনি। টানা ৫ ঘন্টা সাতার কেটে এই চ্যানেল অতিক্রম করতে হয়। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ্পরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে এই সাঁতার শুরু হয়। অন্যদের সঙ্গে এবার বাংলা চ্যানেল সাঁতারে অংশ নিলেন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লারিসা এবং একজন বিদেশি। এই সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’।

ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার জানান, মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার সাঁতার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, এবার সর্বোচ্চ ৭৯ জন সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। গত বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ জন সফল হয়েছিলেন।

লিপটন সরকার জানান, ‘এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এবারও ব্যতিক্রম ছিলেন একজন বিদেশি সাঁতারুর অংশ গ্রহণ। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক সাঁতারুর অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয় হচ্ছে।’

ঢাকার একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দা লারিসা রোজেনের বয়স ১০ বছর ৪ মাস। অন্যদের মতো তার সঙ্গে রয়েছেন মা, বাবা ও বড় ভাই। তবে লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় রয়েছেন মা। ছোট্ট লারিসা বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে কনিষ্ঠ সাঁতারু হতেই অংশ নিয়েছে বলে জানায়।

উল্লেখ যে, ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়েছিল।