পূর্ব কঙ্গোতে আত্মঘাতী বোমা হামলা; অন্তত ৬ জন নিহত

মানচিত্রে কঙ্গো।

পূর্ব কঙ্গোর একটি শহরে একটি রেস্টুরেন্ট ও বার-এ শনিবার একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে যাতে হামলাকারী ছাড়াও আরও অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। ক্রিসমাসের দিন হামলার সময় সেখানে কয়েক ডজন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এলাকাটিতে ইসলামিক উগ্রপন্থীদের সক্রিয় উপস্থিতি আছে বলে জানা যায়।

বোমা বিস্ফোরণের কিছু পরেই প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায় এবং আতঙ্কিত মানুষ শহরের কেন্দ্র ছেড়ে পালাতে ছোটাছুটি শুরু করে।

উত্তর কিভু’র গভর্নরের মুখপাত্র জে. সিলভেইন একেঙ্গে বলেন যে নিরাপত্তারক্ষীরা আত্মঘাতী হামলাকারীকে জনবহুল বারটিতে প্রবেশে বাধা দেয় এবং হামলাকারী তাই প্রবেশপথেই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায়।

একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা মানুষদের সতর্ক থাকতে এবং জনাকীর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলতে আহ্বান করছি। বেনী শহর এবং আশপাশের এলাকায় এমন সময় কারো পরিচয় সম্পর্কেই নিশ্চিত করে বলা যায় না”।

মেয়র নারসিস মুতেবা, যিনি একই সাথে একজন পুলিশ কর্নেল, জানান যে নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে। এর বাইরে আরও অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন যাদের একটি স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শহরটি দীর্ঘসময় ধরেই এ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস-এর বিদ্রোহীদের লক্ষ্যবস্তু ছিল। দলটির উৎপত্তি মূলত পার্শ্ববর্তী উগান্ডায়। তবে, ইসলামিক স্টেট-এর একটি সহযোগী দল বেনীতে জুনে হওয়া দুইটি বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে, যার ফলে সেখানেও ধর্মীয় উগ্রবাদ জেঁকে বসার শঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।

পূর্ব কঙ্গোতে জানামতে প্রথম আত্মঘাতী হামলার ঘটনাটি সেই বিস্ফোরণগুলোর একটি, যাতে একজন উগান্ডান একটি বারের বাইরে একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ইসলামিক স্টেটের সেন্ট্রাল আফ্রিকা প্রোভিন্স পরবর্তীতে দাবি করে যে সেই আত্মঘাতী হামলাকারী খ্রীস্টানদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। একই দিনের অপর বিস্ফোরণটি একটি ক্যাথলিক গীর্জার ভিতরে ঘটে যাতে দুইজন আহত হন।