প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমাদের কাছে "অবিলম্বে" নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। ইউক্রেনের দিকে রাশিয়ার ব্যাপক সৈন্য মোতায়েন নিয়ে ক্রমাগত উত্তেজনার মধ্যে পুতিন এ দাবি জানান।
২৩শে ডিসেম্বর তার বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে পুতিন রাশিয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউক্রেন এবং নেটো সম্পর্কে অভিযোগের তালিকা তুলে ধরেন।
তিনি দাবিগুলির একটি তালিকাও উল্লেখ করেন যেটি রাশিয়ার কর্মকর্তারা এই মাসের শুরুতে প্রকাশ করেছিলেন যেখানে ইউরোপীয় নিরাপত্তা এবং নেটোর নীতিগুলির বড় ধরণের পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে।
স্কাই নিউজের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, “আপনার আমাদের নিশ্চয়তা দেয়া উচিত। আপনি! আর দেরি না করে! এখন!”
পুতিন ক্রেমলিনের অতীত দাবির পুনরাবৃত্তি করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছে।
তিনি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নেটোতে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রোমানিয়া এবং পোল্যান্ডে মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী এজিস অ্যাশোর সিস্টেমের কথা উল্লেখ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জোর দিয়ে বলেছে যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির বিরুদ্ধে ইউরোপকে রক্ষা করার জন্য ঐ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রয়োজন তবে রাশিয়ার অস্ত্রাগারের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি অকার্যকর।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে পুতিন বলেন, "আমরাই কি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের পাশে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছি? না। যুক্তরাষ্ট্র তার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছে এবং আমাদের বাড়ির দোরগোড়ায় রয়েছে... এটা কি অস্বাভাবিক দাবি? আমাদের বাড়ির পাশে আর কোন অ্যাসল্ট সিস্টেম রাখবেন না? এতে অস্বাভাবিকতার কী আছে?”
পূর্বের এক প্রশ্নের উত্তরে, পুতিনকে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং সম্ভাব্য অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে প্রস্তাবিত আসন্ন আলোচনার বিষয়ে একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত দিতে দেখা গেছে।
নতুন বছরের কোন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কূটনীতিকদের জেনিভায় নতুন আলোচনার জন্য মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখেছি। যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদাররা আমাদের বলেছেন আগামী বছরের শুরুতে তারা এই আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।"
তিনি বলেন, "আমি আশা করি তাই যেন হয়। "
১৭ই ডিসেম্বর প্রকাশিত রাশিয়ার যে সব দাবি তার মধ্যে রয়েছে -পূর্বদিকে নেটোকে আরও সম্প্রসারণে নিষিদ্ধ করা এবং ইউক্রেন ও অন্যান্য কয়েকটি দেশ যাদের সামরিক বিষয়ে সীমিত সার্বভৌমত্ব রয়েছে তাদের যেন ব্যবহার না করা হয়।