পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র মারা গেছেন

শ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র গতকাল গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

শ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র গতকাল গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

কয়েকদিন ধরে একটু অসুস্থ ছিলেন, পুরনো পেসমেকার বদলানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গতকাল মাঝরাতের পর হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। রাত ১টা ৫০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু সংবাদ পাওয়া যায়।

পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সোমেন মিত্রের নাম জড়িয়ে রয়েছে বহুকাল ধরে। ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পর পর সাত দফা মধ্য কলকাতার শিয়ালদহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিবার জিতে এসেছেন সোমেন মিত্র। পুরো শিয়ালদহ, বৌবাজার, আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায় ওঁকে সবাই ছোড়দা বলে ডাকতো।

কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে তিনি বিধানসভায় নির্বাচিত হলেও একবারের জন্য তৃণমূলে ঢুকেছিলেন এবং ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে তিনি তৃণমূলের হয়ে লোকসভার সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে তার পরেই অবশ্য তিনি আবার কংগ্রেসে ফিরে যান এবং প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হন। এক সময় বাম দলগুলোর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কথা বলে দলের ভেতরে ও বাইরে তরমুজ নামে অভিহিত হয়েছিলেন তিনি।

তরমুজ অর্থাৎ বাইরে সবুজ বা কংগ্রেস আর ভেতরে লাল বা সিপিএম। তবে এসব কথা সোমেন মিত্র কখনও গায়ে মাখেননি। প্রকৃত রাজনৈতিক নেতার মতো তিনি দলকে কী ভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সেই চেষ্টা করে গিয়েছেন। কংগ্রেসের মধ্যে গুন্ডারাজ এনেছিলেন তিনি, এমন অভিযোগ উঠলে হেসে সোমেন মিত্র বলেছেন, এতদিন কংগ্রেস শুধু মার খেয়েছে, এখন পাল্টা মার দিতে হবে। নরমে গরমে, ভালোয় মন্দয় সোমেন মিত্রের কাল একটা স্মরণীয় কাল হিসেবে কংগ্রেসের ইতিহাসে লেখা থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা রাহুল গান্ধী শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তা পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও। দীপংকর চক্রবর্তী, ভয়েস অফ আমেরিকা, কলকাতা

Your browser doesn’t support HTML5

পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র মারা গেছেন