নোয়াখালীতে নারী নির্যাতন এবং সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও গন ধর্ষণের প্রতিবাদে আজ বুধবার তৃতীয় দিনের মত রাজধানী ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।
করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের মধ্যেও দেশের বিভিন্ন স্থানে শত শত নারী-পুরুষ মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এবং ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে লোমহর্ষক উপায়ে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর দেশব্যাপী প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। আজও রাজধানী ঢাকার শাহাবাগ চত্তর, কাওরানবাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতিয় প্রেসক্লাব ও উত্তরা সহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় ধর্ষণ ও ধর্ষকদের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষের সম্মিলিত স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শাহাবাগ চত্তর।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ শাহাবাগ এলাকায় বিক্ষোভ শেষে মিছিল করে। মিছিল নগরীর জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে সেখানে এক সমাবেশে পরিষদের পক্ষ ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানানো হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত এক মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনের যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, তা সমগ্র জাতি ও বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। মানব বন্ধনে তাঁর বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির অভিযোগ করেছেন শুধু নোয়াখালীতেই নয়, গত কয়েক মাস যাবত সারা দেশে ধর্ষণের মহোৎসব শুরু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বাংলাদেশের নারী একাউন্ট ধারিরা মঙ্গলবার সারাদিন তাঁদের নিজেদের প্রোফাইল ছবি কালো করে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং দেশে ক্রমাগত ভাবে বাড়তে থাকা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার। আজ গণমাধ্যমের কাছে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন যেহেতু জনগণের পক্ষ থেকে এ দাবি উঠেছে সেহেতু এটা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে; কারণ আইন মানুষের জন্য।
অন্যদিকে, নোয়াখালীর ঘটনায় আজ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট ৮ জন গ্রেফতার হল।
Your browser doesn’t support HTML5