নিজের বাল্যবিয়ে রুখতে থানায় এসে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। পরিবারের লোকদের প্রথম থেকে বুঝিয়েও বিয়ের আয়োজন থেকে বিরত রাখতে পারেনি ছাত্রীটি। তার অনুরোধ ছিল, পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে চায়। নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। কিন্তু কেউ তার কথা শোনেননি। এ কারণে আজ সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসে হাজির ছাত্রীটি। তার হাতে ছিল অভিযোগ পত্র।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, বুধবার সকালে এক ছাত্রী থানায় আসে। সে শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী। অভিযোগ করে, তার অমতে পরিবারের লোকজন বিয়ে ঠিক করেছে। কিন্তু সে আরও লেখাপড়া করতে চায়। ছাত্রীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তার বাড়ি যায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তাদের বুঝিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, তারা মেয়েটিকে পড়ার সুযোগ দেবেন। বিয়ের জন্য আর চাপ দেবেন না।
ছাত্রীর পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, মেয়েটির পিতা সামান্য চা দোকানী। মা একটি মুড়ি ফ্যাক্টরির শ্রমিক। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তারা মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। পুলিশের অনুরোধে মেয়েটির পিতা-মাতা তার লেখাপড়া চালিয়ে নিতে রাজী হয়েছে।