দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যেতে পারে

দ্রুত ভ্যাকসিন বের না হলে দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যেতে পারে। একদল আন্তর্জাতিক সমীক্ষক ৬৪টি দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন।

দ্রুত ভ্যাকসিন বের না হলে দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যেতে পারে। একদল আন্তর্জাতিক সমীক্ষক ৬৪টি দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন।

Your browser doesn’t support HTML5

দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যেতে পারে

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকদের ধারণা এই অঞ্চলে সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হবে ভারত। এরপরে রয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। সমীক্ষা বলছে ২০২১ এর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ভারতে দিনে দুই লাখ ৮৪ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ঠিক কতজন মানুষ আক্রান্ত হবেন সেটা স্পষ্ট করা হয়নি।

সমীক্ষকদের ধারণা উদ্বেগের কারণ হচ্ছে সংক্রমণের গতি প্রকৃতি। এই মুহূর্তে সংক্রমণের যে গতি প্রকৃতি তা দেখে ধারণা করা যায় বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হবেন। গবেষণায় সংক্রমণের গতি বেসামাল হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ তারা নির্ণয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে এসব দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে হেলাফেলা করা, টেস্ট কম করা। সমীক্ষকদের মতে সংক্রমণের বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বর অক্টোবরে হঠাৎ করেই সংক্রমণ বেড়ে যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে করোনাকে এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে অবশ্যই টেস্টের মাত্রা বাড়াতে হবে। যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে বেশি মাত্রায় টেস্ট করতে হবে।

এই যখন অবস্থা তখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। একদিকে সংক্রমণ বাড়ছে, অন্যদিকে টেস্টের হার কমিয়ে দেয়া হয়েছে। উপরন্তু টেস্টের ফিও নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে মানুষজন আস্থা হারাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার ওপর। হাসপাতালগুলোতে হাজার হাজার বেড খালি থাকছে। অনেকেই হাসপাতালে যাওয়ার থেকে বাড়িতে থাকাটাকেই বেশি পছন্দ করছেন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ছয় হাজার ৩০৫টি বেড রয়েছে। এর মধ্যে খালি রয়েছে চার হাজার ৭৫০ টি।

জাতিসংঘের তরফে পরিচালিত এক জরীপে দেখা যায় শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ সরকারি সেবার হেল্প লাইনে ফোন করতেই রীতিমত ভয় পান। বাংলাদেশ হেলথ রাইটস মুভমেন্টের প্রধান রশিদ-ই-মাহবুবের মতে সরকারি হাসপাতালগুলো রোগী বান্ধব নয়। এজন্য এই নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৮৬ জন।