চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শনিবার তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে "পুণ:একত্রিকরণ" বাস্তবায়নের প্রত্যয় প্রকাশ করেন। যদিও শি তার বক্তব্যে চীনের দাবি করা দ্বীপের সঙ্গে এক সপ্তাহ ধরে চলে আসা উত্তেজনা-যা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে সে ঘটনায় বল প্রয়োগের কথা সরাসরি উল্লেখ করেননি।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তার সার্বভৌমত্ব দাবী করার জন্য বেইজিংয়ের কাছ থেকে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধির সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু তাইপে তাদের স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকার করেছে এবং বলেছে কেবল তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।
বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্য পিপল -এ বক্তৃতাকালে শি বলেন, চীনের জনগণের বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা করার এক "গৌরবময় ঐতিহ্য" রয়েছে।
তিনি বলেন,"তাইওয়ানের স্বাধীন বিচ্ছিন্নতাবাদ মাতৃভূমির পুণ:একত্রিকরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা এবং জাতীয় পর্যায়ে নতুন রূপে আবির্ভূত হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুতর এক প্রচ্ছন্ন বিপদ"।
তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ “পুণ:একত্রিকরণ” তাইওয়ানের জনগণের সামগ্রিক ও সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে চীন তার সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্য রক্ষা করবে।
শি বলেন, “চীনের জনগণের দৃঢ় সংকল্প, দৃঢ় ইচ্ছা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার শক্তিশালী ক্ষমতাকে কেউ অবমূল্যায়ন করবেন না”। "মাতৃভূমির সম্পূর্ণ পুণ:একত্রিকরণের ঐতিহাসিক কাজ অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে, এবং অবশ্যই তা পূরণ করা হবে।"
তিনি জুলাই মাসে দেয়া তার বক্তব্যের তুলনায় কিছুটা নরম স্বরে কথাগুলো বলেন। গত জুলাই মাসের বক্তৃতায় তিনি তাইওয়ানের কথা উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার যে কোন প্রচেষ্টাকে "ধ্বংস" করার অঙ্গীকার করেছিলেন। ২০১৯ সালে, তিনি সরাসরি দ্বীপটিকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বল প্রয়োগের হুমকি দিয়েছিলেন।