ঢাকার অভিজাত এলাকায় গাড়ি চললে দিতে হবে এক্সট্রা চার্জ

করোনাভাইরাস রোগের (কোভিড -১)) প্রাদুর্ভাবের মধ্যে একজন বিক্রেতা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০।

রাস্তায় বের হলে গাড়ি আর গাড়ি। যানজটের শেষ নেই। মানুষের চলা ফেরায় হয় বিপত্তি। এই পরিস্থিতি নিয়ে উৎকন্ঠা ব্যক্ত করে বিদেশের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, "আমাদের গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে, পরিবারের প্রতিটি সদস্যরই আলাদা আলাদা গাড়ি রয়েছে। তাই আমরাও পরিকল্পনা করেছি রাজধানীর অভিজাত এলাকা দিয়ে গাড়ি চলার সময় এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে।"

শনিবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়ি মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে এক পদযাত্রা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের ফুটপাথগুলো দখল হয়ে আছে। তাই ফুটপাথ ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে মানুষ, এর ফলেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু মানুষ যদি ফুটপাথ দিয়ে স্বচ্ছন্দে হাঁটতে পারত, তাহলে যানজট কিছুটা হলেও কমে যেত। শুটিং ক্লাব থেকে গুলশান-১, গুলশান-১ থেকে গুলশান-২, বনানী থেকে গুলশান-২ এর রাস্তায় ঢুকলে শুধু গাড়ি আর গাড়ি। পরিবারের সবার জন্য আলাদা আলাদা একটি করে গাড়ি আছে অনেকের। আমাদের গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এসব গাড়ির জন্য দিন দিন যানজটের মাত্রা বাড়ছে।"

তিনি আরও বলেন, "বিদেশে আমরা দেখেছি, তাদেরও কিন্তু বিভিন্ন রাস্তায় ঢুকলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হয়। তাই আমরাও প্ল্যান করেছি গুলশান, বারিধারাসহ অভিজাত এলাকাগুলোতে গাড়ি ঢুকলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে। আমরা এসব অভিজাত এলাকাতে মেশিন বসিয়ে প্রথমে গাড়ি গণনা করব। দেখব কতগুলো গাড়ি প্রবেশ করে, এরপর একটি সমীক্ষা করে নিয়ে বিষয়টি আমরা কার্যকর করব। তখন অভিজাত এলাকায় গাড়ি চলার সময় এক্সট্রা চার্জ ধরা হবে।

সড়কে এখনো অনেক রুট পারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল করছে। এর মধ্যে অনেকগুলোর ফিটনেসও নেই উল্লেখ করে মেয়র বলেন, "এসব বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া যেসব এলাকাভিত্তিক সমস্যা আছে সেগুলো এলাকাভিত্তিক স্থানীয়রা দায়িত্ব নেন। আমাকে জানান কী কী সমস্যা আছে, কী করতে হবে। আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সেসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।"