বাংলাদেশের উচ্চ আদালত সোমবার এক শুনানিতে মন্তব্য করেছে, ডেসটিনি, ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পরই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে হাই কোর্ট বলে, "আমার বাড়ি কেন অরক্ষিত? আমার বাড়ি মানে বাংলাদেশ। দেশের মানুষ দরজা-জানালা বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমাবে, কিন্তু আমার ঘর কেন অরক্ষিত? মানুষের টাকা কেন লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে? এগুলো বন্ধ করা কাদের দায়িত্ব? এটা আমরা দেখতে চাই।" অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে রিটের শুনানিতে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে।
আদালতের এ মন্তব্যর সময় সরকার পক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, ‘মাই লর্ড! সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা কিন্তু নয়। এহসান গ্রুপের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছ, ইভ্যালির কর্তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।’ তখন বিচারক বলেন, ‘সরকার তো ব্যবস্থা নিচ্ছে কিন্তু সেটা কখন? যখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম, আমার রেমিডিটা কোথায়? আমার টাকাটা নিয়ে গেল, আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরতেছি। সে থানায় যাবে, জেলে যাবে যাক, কিন্তু আমার টাকাটা যে নিয়ে গেল সেটা কোথায়? আমরা মামলা করার পর চোর ধরা পড়ছে। চুরি তো ঠেকানো যাচ্ছে না।’ হাই কোর্ট আরও বলে, ‘সরকারের কাজ কি? এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, তাদের আইনের শাসন সবকিছু। সেখানে সরকার ঠিকমতো কাজ করছে কি না আমরা দেখব।’ পরে এ রিটের ওপর আরও শুনানির জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছে উচ্চ আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক চৌধুরী।