করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশে। প্রতি মুহুর্তে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতাগুলোতে ঠাঁই নেই। বিশেষজ্ঞরা নতুন স্ট্রেইন বলছেন না। তাদের কথা, গবেষণা না করে বলাটা হবে অবৈজ্ঞানিক। তবে বিপদের কথা হচ্ছে, এখন তরুণরা হাসপাতালে আসছে বেশি।
পরিস্থিতি আতঙ্কজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক অধ্যাপক খুরশীদ আলম। মাস্ক পরার ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বলা হয়েছে, মাস্ক না পরলে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হবে। গুনতে হবে জরিমানাও। দু'মাস পর রোববার এক হাজার ১৫৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৮ জন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিত্র সপ্তাহান্তে একদম বদলে গেছে। ৫০০ বেডের হাসপাতাল। এরমধ্যে ২৫০ বেড নির্ধারিত রয়েছে করোনা রোগীদের জন্য। দুই সপ্তাহ আগেও হাতেগোনা কিছু রোগী ছিল। এখন ২৫০ বেড প্রায় ছুঁইছুঁই। হাসপাতালটির আইসিইউ-এর দায়িত্বে রয়েছেন ডা. শাহজাদ হোসাইন মাসুম। ভয়েস অব আমেরিকার এই সংবাদদাতাকে বলেন, আমাদের ফোন আবার ব্যস্ত হয়ে গেছে চেনা-অচেনা মানুষের কলে। হঠাৎ করে কেন বেড়ে গেল?
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক অধ্যাপক খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, করোনার ঢেউ মোকাবিলায় দেশের সব হাসপাতালগুলোকে ফের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার 'নতুন ধরনের' কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আলম বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, নতুন করে এখন যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ। তাদের আইসিইউ লাগছে। অণুজীব বিজ্ঞানী ড. সমীর কুমার সাহা মনে করেন, করোনার সংক্রমণ অনেক কারণে বাড়তে পারে। তবে আমরা অসচেতন হয়ে গেছি। এটাই বোধ করি প্রধান সমস্যা। টিকা নিয়েছি, তাই আমি নিরাপদ এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। দুই ডোজ টিকার মাঝখানের সময়টা বিপদজনক। তাই অধিকমাত্রায় সচেতন হতে হবে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী
Your browser doesn’t support HTML5