জানুয়ারি মাসে বাইডেন প্রশাসন এবং কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা ওয়াশিংটনের একক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে।
আইনপ্রণেতারা সম্ভাব্য সরকারী কাজ বন্ধ এবং জাতীয় ঋণের খেলাপি হওয়া এড়াতে হিমসিম খাচ্ছেন। সেই সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব দলটির মূল অগ্রাধিকারগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে দুটি আইনকে বিপন্ন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভ্যন্তরীণ কর্মসূচি উভয়ের জন্যই একটু চড়া মূল্য দিতে হতে পারে।
বাজেট প্রস্তাব পাস করা বিলম্ব করলে এবং অর্থ মন্ত্রককে যে পরিমাণ অর্থ ধার নেয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা বাড়ালে অথবা কিছু ভুল পদক্ষেপ নিলে, সব কিছু মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে। মুডি'স অ্যানালিটিক্সের একটি অনু্মান মোতাবেক যদি যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হয় তাহলে ৬০ লক্ষ মানুষ চাকরি হারাতে পারে এবং ১৫ লক্ষ কোটি ডলারের পারিবারিক সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
যদি প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাটরা সেনেটের অনুমোদিত দেড় লক্ষ কোটি ডলারের অবকাঠামো বিল এবং ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি ডলারের বিল যা সামাজিক পরিষেবা, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং অন্যান্য দলীয় অগ্রাধিকারগুলিতে ব্যয় করা হতে পারে, এ দুটি পাশ করানোর জন্য যথেষ্ট ভোট অর্জন করতে না পারে তাহলে ২০২২ সালে ভোটারদের মুখোমুখি হয়ে ডেমক্র্যাটরা ওয়াশিংটন নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দুই বছরের অর্জন হিসেবে তেমন কিছুই দেখাতে পারবেনা।