ইরান পারমাণবিক আলোচনাকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে তা বিশ্ব শক্তিগুলি মূল্যায়ন করবে

ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস (EEAS) এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা এবং ইরানের প্রধান পারমাণবিক আলোচক আলী বাঘেরি কানি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভিয়েনায় জেসিপিওএ জয়েন্ট কমিশনের বৈঠক শুরুর জন্য অপেক্ষা করছেন। ৯ ডিসেম্বর ২০২১।

শুক্রবার ইউরোপীয় একটি সূত্র জানিয়েছে ইরান পারমাণবিক আলোচনাকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিশ্ব শক্তিগুলি মূল্যায়ন করবে। জুন মাসে আলোচনার শেষ ধাপে সম্মত হওয়া লিখিত বিবরণের ভিত্তিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় ইরান।

২০১৫ সালের ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা বৃহস্পতিবার আবার শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক পন্থা ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বা সামরিক পরিণতি সম্পর্কে তেহরানের উপর চাপ বাড়াচ্ছে।

ইরানের শীর্ষ আলোচক জানিয়েছেন যে তেহরান গত সপ্তাহে যে অবস্থানে ছিল সেখানেই অটল রয়েছে। ইউরোপীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায় যখন ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে তারা এই বছরের শুরুতে যেসব দাবী ও আপোষে সম্মত হয়েছিল তা এখন পরিবর্তন করতে চাইছে।নতুন করে তারা দাবী করছে এবং আগের আপোষগুলো প্রত্যাহার করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি জানিয়েছে, "ইরান বলেছে যে তারা জুন মাসের ঐ লিখিত বিবরণকে ভিত্তি করে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এটি এখন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখা হবে।"

ওয়াশিংটনের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং তেহরানের যে পারমাণবিক নিষেধাজ্ঞাগুলি পালন করতে হবে শুক্রবার তা নিয়ে আলোচনা শুরু করবে এই কার্যকরি দলটি।

ইরানের আলোচক আলী বাঘেরি কানি রয়টার্সকে বলেছেন, "ইরান এই আলোচনাকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে তা স্পষ্ট। কে অন্য বৈঠকগুলো বাতিল করেছে এবং ভিয়েনায় এখন কে আছে বা কে নেই তা দেখুন।"

তার মন্তব্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আলোচক রব ম্যালির দিকে ইঙ্গিত করছেন, যিনি সপ্তাহান্তে অস্ট্রিয়ার রাজধানীতে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাঘেরি কানি বলেন,"ইরানের (নতুন) খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে।"

ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা, যেখানে অবশিষ্ট পক্ষ- ফ্রান্স,ব্রিটেন, জার্মানি, রাশিয়া এবং চী্নের কূটনীতিকরা এখন ২০১৫ এর ছিন্নভিন্ন চুক্তি সম্পর্কে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলছে কারণ তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে এই বিষয়ে সরাসরি যোগাযোগ করতে চাইছে না। তাদের লক্ষ্য উভয় পক্ষকে সম্পূর্ণ সম্মত করে চুক্তিটি পুনরায় শুরু করা।