রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন ব্রডকাস্টার আরটি-এর জার্মান ভাষার চ্যানেলগুলি মুছে ফেলার পর বুধবার রাশিয়া আলফাবেট ইনকর্পোরেশনের ইউটিউব ব্লক করার হুমকি দিয়েছে। জার্মানির গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কথাও ভাবছে রাশিয়া।
ইউটিউব মঙ্গলবার জানিয়েছে যে আরটি-র চ্যানেলগুলি তার কোভিড -১৯ এর ভুল তথ্য বিষয়ক নীতি লঙ্ঘন করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক এই পদক্ষেপকে "নজিরবিহীন তথ্য আগ্রাসন" বলে বর্ণনা করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক রোসকোমনাডজোর জানিয়েছে যে তারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি করে গুগলকে চিঠি লিখেছে। এতে বলা হয়েছে, যদি ইউটিউব এই দাবী মানতে ব্যর্থ হয় তবে রাশিয়া আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ইউটিউবের নাগাল নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করতে পারে।
বুধবার গুগল এই সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
ক্রেমলিন বলেছে যে ইউটিউবকে রাশিয়ার আইন মেনে চলতে বাধ্য করা হতে পারে। তারা বলছে যে সেই নিয়ম লঙ্ঘন আদৌ সহ্য করা না ও হতে পারে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ সংবাদাতাদের বলেন, "অবশ্যই এমন লক্ষণ রয়েছে যে রাশিয়ান ফেডারেশনের আইনগুলি লঙ্ঘিত হয়েছে, বেশ স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে, কারণ এর মধ্যে অবশ্যই সেন্সরশিপ এবং মিডিয়া দ্বারা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।"
পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলছে, ইউটিউব হোস্টিং সার্ভিস এবং জার্মান মিডিয়ার বিরুদ্ধে রুশ কর্তৃপক্ষকে "প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও প্রতিশোধ নেয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।"
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)’এর জার্মানির নির্বাহী পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান মিহর বলেন, জার্মান সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি ," "আদৌ যথার্থ নয়”।
মস্কো গত এক বছরে বিদেশী প্রযুক্তি সংস্থাগুলির উপর চাপ বাড়িয়েছে।রাশিয়া যে বিষয়বস্তুগুলোকে অবৈধ মনে করে তা না সরানোর জন্য সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলিকে জরিমানা করেছে এবং শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে টুইটারের গতি কমিয়ে দিয়েছে।