আমেরিকান সৈন্য হত্যার অভিযোগে তালিবান নেতাকে অভিযুক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল - আফগানিস্তানের গজনীতে সরবরাহকারী ট্রাকের বহরে তালিবান জঙ্গিরা যে স্থানে হামলা করেছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সৈনিক নজর রাখছে। ২৪ জুন ২০০৮। (ছবি- রয়টার্স/শির আহমেদ)

বৃহষ্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কৌশুলিরা একজন কথিত সাবেক তালিবান কমান্ডারের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে আমেরিকান সৈন্যদের হত্যার বিষয়ে সন্ত্রাসবাদ-সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ এনেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে আটক ৪৫ বছর বয়সী হাজি নজিবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে যে তিনি একজন আমেরিকান সাংবাদিক এবং আফগানিস্তানের দুজন অসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিচারের জন্য ইউক্রেন থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ হয়।

বৃহস্পতিবার, নিউইয়র্কের কৌঁসুলিরা বলেন যে তারা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যেখানে যে হত্যাগুলোর অভিযোগে তিনি ইতিমধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন তার সঙ্গে আরও কয়েকটি হত্যার অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে।

বিচার বিভাগ জানিয়েছে, নজিবুল্লাহর অধীনে তালিবান যোদ্ধারা ২০০৮ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে হামলা চালিয়ে তিন সেনা সদস্য এবং একজন আফগান দোভাষীকে হত্যা করে।

নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের কেন্দ্রীয় কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ঘরে তৈরি বিস্ফোরক যন্ত্র, রকেট চালিত গ্রেনেড এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে হামলাটি চালানো হয়।

এক বিবৃতিতে কৌঁসুলি অড্রে স্ট্রাউস বলেন, "যেমনটি অভিযোগ করা হয়েছে, আফগানিস্তানের সংঘাতের সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়ে, হাজী নজিবুল্লাহ তালিবান বিদ্রোহীদের একটি দুষ্ট দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যারা আফগানিস্তানের কিছু অংশে ভীতির সঞ্চার করেছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের আক্রমণ করেছিল।"

নজিবুল্লাহর বিরুদ্ধে একজন আমেরিকান সাংবাদিক এবং দুই আফগান নাগরিককে অপহরণ করে সাত মাস তাদের জিম্মি করে রাখার অভিযোগও রয়েছে।

বিচার বিভাগ জিম্মিদের নাম প্রকাশ করেনি। কিন্তু ২০০৮ সালের নভেম্বরে আফগানিস্তানে একজন অনুবাদক ও চালকসহ নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ডেভিড রোহডকে অপহরণ করা হয়েছিল।