আগামী বছর বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন শুরু হবেঃ সালমান এফ রহমান

রিডিং এরিয়া কমিউনিটি কলেজের একটি ক্লিনিকে সিরিঞ্জে ফাইজারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হয়েছে৷১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১। (ছবি-এপি/ম্যাট রোউর্ক)

আগামী বছর বাংলাদেশে কোভিডের টিকা উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

সালমান এফ রহমান বলেন, "ভারত থেকে আমরা সর্বপ্রথম সবচেয়ে কম দামে টিকা আমদানি করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগের ফলে বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে আমরা দ্রুত টিকা পেয়েছি। ভারত টিকা উৎপাদন শুরু করার আগেই আমরা অগ্রিম টাকা দিয়েছি। এটি আমাদের জন্য ঝুঁকি ছিল। তাদের দেশে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলে টিকা পেতে দেরি হয়। তবে আগামী মাসে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি আছে সেটির আরেকটি চালান পাওয়া যাবে। আর আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে চুক্তির সব টিকা পাওয়া যাবে বলে আশা করি।"

টিকা উৎপাদন বিষয়ে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের ইনসেপ্টা চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে। ইনসেপ্টার কাছে চায়না যে বিশেষ ধরনের টিকা বানায় সেটি তাদের বানানোর সক্ষমতা আছে। তাদের সঙ্গে চীনের টার্ম অ্যান্ড কন্ডিশন চূড়ান্ত হলেই টিকা উৎপাদন শুরু করতে পারবে। একই সঙ্গে বেক্সিমকোও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে। আশা করি আগামী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে আমরাও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শেষ করতে পারবো। বেসরকারিভাবে ইনসেপ্টা ও বেক্সিমকো কাজ করলেও আরও কয়েকটি কোম্পানি টিকা উৎপাদন নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে আন্তরিক। তিনিও চান দেশে টিকা উৎপাদন হোক। এজন্য যে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।"

সালমান এফ রহমান বলেন, "করোনা মহামারির বর্তমান অবস্থায় আগামী এক থেকে দুই বছর টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। টিকা দেওয়ার পরও এখনো করোনা ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ফলে আলোচনায় আসছে বুস্টার টিকা দেওয়ার। সে বিষয়টিও আলোচনায় আছে।"

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪জন। মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।