আংকারায় রাতভর সহিংসতাঃ লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার শরণার্থীরা

আংকারায় শরণার্থীদের ওপর হামলার সময় লাগা আগুন নেভাতে তৎপর একজন দমকল কর্মী। আগস্ট ১১, ২০২১- রয়টার্স

আংকারার শহরতলি আলটিন্ডায় বুধবার শত শত মানুষ সিরিয়ান শরণার্থীদের ঘরবাড়ীতে হামলা করে। সিরিয়ানদের দোকান ভাংচুর ও লুট করা হয়। সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে স্থানীয় এক তুর্কী যুবক হত্যাকে কেন্দ্র করে। ধারণা করা হয়, সিরিয়ানরা তাঁকে হত্যা করেছে। পুলিশ সংঘাত থামানোর চেষ্টা করার পরও তা বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। 

বুধবার রাতে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সিরিয়ান শরণার্থীদের ওপর হামলায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তুরস্কে প্রায় চল্লিশ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে এবং আফগানিস্তান থেকে আরও শরণার্থী সে দেশে যাচ্ছে। এর ফলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ার আশংকা করে হচ্ছে।

আংকারার শহরতলি আলটিন্ডায় বুধবার শত শত মানুষ সিরিয়ান শরণার্থীদের ঘরবাড়ীতে হামলা করে। সিরিয়ানদের দোকান ভাংচুর ও লুট করা হয়।

সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে স্থানীয় এক তুর্কী যুবক হত্যাকে কেন্দ্র করে। ধারণা করা হয়, সিরিয়ানরা তাঁকে হত্যা করেছে। পুলিশ সংঘাত থামানোর চেষ্টা করার পরও তা বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়।

অসমর্থিত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী অন্যান্য এলাকা থেকে লোকজন গিয়ে ঐ হামলায় অংশ নেয়। হতাহতের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

তুরস্কের ক্ষমতাসীন AKP দলের শক্ত ঘাঁটি আলটিন্ডায় বসবাস করে বিপুল সংখ্যক সিরিয়ান শরণার্থী যারা গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

এক দশক ধরে চলমান সিরিয়ার গৃহ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাওয়া মানুষদের আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক। তবে Global Source Partners এর রাজনীতি বিশ্লেষক আটিলিয়া ইয়েসিলাদা মনে করেন সরকারের শরণার্থী বিষয়ক নীতি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। আফগানিস্তান থেকে আসা ক্রমবর্ধমান শরণার্থী তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

ইয়েসিলাদা বলেন, “শুধুমাত্র ৩৬ লাখ সিরিয়ান শরণার্থীই নন, রয়েছে প্রায় দুই হাজার ইরানি, পাঁচ লাখ ইরাকী, অজ্ঞাত সংখ্যক আফ্রিকান যারা পর্যটক ভিসায় গিয়েছিলেন। এখন আফগানিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে শরণার্থী যাচ্ছে। তারা কম বেতনে কাজ করে টার্কিশদের কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব ফেলছে। এটা একটি বড়ো বিষয়, তুরস্কের জনগণ চান শরণার্থীরা চলে যাক’।