বিশ্বকাপে ২০১০-এর পরিবহন ব্যবস্থা

বিশ্বকাপ ফুটবল, ২০১০

বিশ্বকাপের খবরে – দক্ষিণ আফ্রিকা তার পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে – তাতে দেখা যাচ্ছে - শুধু বিমানবন্দরের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্যই সরকারকে প্রায় ৭০ কোটি ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। জোহানেস্‌বার্গে যখন বিমান অবতরণ করবে দেখবেন বিশাল পাঁচ তলা আগমন এলাকা। আগে যেখানে বছরে ১ কোটি ৭০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতেন এখন সেখানে ২ কোটি ৮০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। আধুনিক সব ব্যবস্থা - টিকিট কাউন্টার, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, কি নেই! দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এয়ারপোর্ট কোম্পানী’ দেশের বড় বড় সব বিমানবন্দরের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই কোম্পানীর মুখপাত্র সলোমান ম্যাক্‌গেল বললেন, ৫ বছরের এই প্রকল্পের সাহায্যে অত্যাধুনিক চমত্কার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “এ হচ্ছে বিশ্ব মানের বিমানবন্দর, যেমনটি আপনি সম্ভবতঃ ইওরোপ বা আমেরিকার কোনো কো্নো জায়গায় দেখতে পাবেন। এটি একেবারে আন্তর্জাতিক মানসম্মতভাবে তৈরী করা হয়েছে। এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা মনে করি যে – তা নির্দিষ্ট মান ছাড়িয়ে গেছে”।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা গত মাসে ডারবানে নতুন বিমান বন্দর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, দেশে এখন বিমান চলাচলের ইতিহাসে এক নতুন জোয়ার এসেছে।

প্রেসিডেন্ট জুমা বলেন – “আমরা এমন এক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপের আয়োজন করেছি, যে সময়টাতে দেশে বিশাল পুনর্গঠন – পুনর্নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। এতে করে আমরা সত্যিই আনন্দিত”।

বিশ্বকাপের বদৌলতে দেশে যে বিশাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে – তা কেবল বিশ্বকাপের অতিথি – পর্যটক – খেলোয়াড়দের জন্যই নয়, ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী মনে করছে এইভাবে বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে – তারা বিশ্ববাসীর কাছে, তাদের দেশ ও দেশের মানুষের - সুন্দর কিছু ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হবে।