নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ রুথ বেডার গিন্সবার্গ তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠ দিয়ে উন্মচিত করে দিয়ে গেছেন আরও অনেক নারীর পথ। তাঁকে আজ অনুসরণ করছে বিশ্বময় লক্ষ লক্ষ নারী। রুথ এমন সময় আইন পেশাতে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন যখন নারীদের এমন পেশাতে যাবার কোন উপায় বা বলা যায় সাহস ছিলোনা। কেননা সে জায়গাটি ছিল পুরুষ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে তাঁকে সামনে এগিয়ে দেন তাঁর স্বামী মার্টিন গিন্সবার্গ। সম অধিকার, নারী অধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নানা সময়ে তর্কে জমিতেছেন তিনি। সেই জয় ছিল নারী জাতির।
ভাবা যায় সুপ্রিম কোর্টে একটি সময় তিনি ছিলেন একমাত্র নারী বিচারপতি। তাঁর কারণেই আজ অসংখ্য নারী আইন পেশায় নিয়োজিত।
কর্ম জীবনের শুরুতে রুথ ছিলেন সহকারী গবেষক। খুব দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাঁকে একটি চাকরি পাবার জন্য। তিনি নারী বলে ১৯৬০ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ফেলিক্স ফ্রাঙ্কফারটার তাঁকে মুহুরির কাজে নিয়োগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। অথচ তাঁকে সুপারিশ করেছিলেন হার্ভার্ডের ডিন প্রফেসর অ্যালবার্ট মার্টিন স্যাক্স। এরপর কলাম্বিয়ার আইনের প্রফেসর জেরাল্ড গান্থার বিচারপতি এডমান্ড পালমেরিকে জোর দেন রুথকে চাকরি দেবার জন্য এবং সেই চাকরিটি তিনি পেয়ে যান।
১৯৭২ সালে রুথ সহ প্রতিষ্ঠিত করেন উইমেন্স রাইটস প্রজেক্ট এবং এই সংগঠন ১৯৭৪ সালের মধ্যে ৩০০টির ও বেশী লিঙ্গ বৈষম্য মামলা লড়ে। রুথ খুব বিচক্ষনতার সঙ্গে ঐ লিঙ্গ বৈষম্যের মামলাগুলো লড়তেন। রুথের কারণেই অনেক ক্ষেত্রে পুরুষ বাদীরা কোর্টে লিঙ্গ বৈষম্য উভয় লিঙ্গের জন্য যে ক্ষতিকর সে কথা বলতেন।
তিনি গর্ভপাত অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন। বলেছিলেন, একজন নারীর মা হবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার শুধু একজন মায়েরই থাকা উচিত।
দৃঢ়চেতা এই নারীর কর্মজীবন নিয়ে আয়োজন এবারের নারীকণ্ঠ। যোগ দিয়েছেন কিউনি স্কুল অফ ল এর অধ্যাপক স্বমতলি হক।
Your browser doesn’t support HTML5