বাংলাদেশে নারীর সমঅধিকার প্রাপ্তি এবং ক্ষমতায়ন- বিশেষ করে অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হচ্ছে, অপরদিকে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নিরাপত্তাহীনতাও বাড়ছে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দেখা যাচ্ছে- বিবাহিত জীবনে বাংলাদেশী নারীদের ৮৭ শতাংশই নির্যাতনের শিকার। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি বলছে, প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে একজন কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এরই প্রেক্ষাপটে অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমান সমান এমন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠানে দিবসটি পালন করেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে নারীর স্বাবলম্বী হওয়া ও ক্ষমতায়িত হওয়ার ক্ষেত্রে পরিস্থিতির উন্নয়ন হচ্ছে। তবে সাথে সাথে নারীর নিরাপত্তাহীনতা এবং তাদের প্রতি সহিংসতাও বাড়ছে। কেন এমন পরিস্থিতি সে সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন রাষ্ট্রীয় গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্স ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।
ড. নাজনীন মনে করেন, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নির্যাতনের কারণগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে এই মুহূর্তের সবচেয়ে জরুরি কাজ। ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট।
Your browser doesn’t support HTML5