ভারতে ত্রুটিপূর্ণ পরিকল্পনার জন্য করোনার প্রতিষেধক দানের সমগ্র প্রক্রিয়াটাই ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এতদিন ধরে করোনার প্রতিষেধক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় দেওয়া হচ্ছিল যথাক্রমে স্বাস্থ্যকর্মী ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত লোকেদের, তার পরে ষাটোর্ধ্ব মানুষদের ও ৪৫ থেকে ৬০ বছর, কিন্তু অসুস্থদের এবং তারও পরে ৪৫ বছরের বেশি সকলের। এখন সরকার ঘোষণা করেছে, পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ভারতীয় নাগরিকদের প্রত্যেককে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হবে। তার জন্য আজ বুধবার আঠাশে এপ্রিল বেলা চারটে থেকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে।
Your browser doesn’t support HTML5
শুধুমাত্র সরকারি 'কোউইন' পোর্টাল এবং 'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ-এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন না হলে টিকা পাওয়া যাবে না। এমনিতেই প্রতিষেধকের চূড়ান্ত আকাল। প্রতিটি প্রতিষেধক কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কোথাও ২০০ কোথাও আড়াইশো সংখ্যা পার হয়ে গেলেই আর কাউকে টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। ভোর থেকে বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষেরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন টিকা নেওয়ার জন্য। এক একটা কেন্দ্রে কয়েক হাজার করে লোকের ভিড়। কিন্তু তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরকম অবস্থাতেই সবার জন্য প্রতিষেধক ব্যবস্থা শুরু করে দেওয়া হলো।
আজ বেলা চারটের সময়ে দুটি সরকারি পোর্টাল ও অ্যাপ খোলা মাত্রই ব্যবহারকারীদের চাপে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ পরে সেগুলো ঠিক হলেও এর পরে কী হবে জানা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, যাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের সেকেন্ড ডোজের নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেনের হাহাকার এবং করোনা সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর মিছিল।