আমেরিকায় অগাস্ট মাস জুড়ে পালিত হচ্ছে নারীর ভোটাধিকার অর্জনের ১’শ বছর পূর্তী। এই অধিকার অর্জনের জন্য অমেরিকান নারীদের দীর্ঘ প্রায় ১’শ বছরের উপরে নানা ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করতে হয়েছে। আমারা যারা জন্মলগ্ন থেকে ভোটাধিকার অজর্ন করেছি তারা কি কল্পনা করতে পারি এই প্রাপ্তির জন্য আজ থেকে এক’শ বছর আগে আমেরিকান নারীদের কি করতে হয়েছিল অথবা কেমন ছিল সেই সামাজিক প্রেক্ষাপট? ১৯২০ সালের ১৮ই আগস্ট টেনেসিতে ১৯তম সংশোধনী অনুমোদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় এবং আমেরিকান মহিলাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু এই মাইলফলক অর্জনের জন্য মহিলাদের দীর্ঘ এবং কঠিন সংগ্রাম, কয়েক দশক ধরে আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে হয়েছিল।
Your browser doesn’t support HTML5
অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই শুরু হয়েছিল ১৮ শতকে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীরা সমাজ সংস্কারের দাবীতে এগিয়ে আসেন বিশেষ করে তাদের প্রত্যহিক জীবনকে যে বিষয়গুলো প্রভাবিত করেছিল। এমন কি ঐ সময় তারা গড়ে তুলেছিলেন দাসত্ব-বিরোধী সংগঠন সেই সঙ্গে নিজেদের সংযত-সংহত করার জন্য ইউনিয়ন গঠন করে ছিলেন।
১৮৪৮ সালে, নিউইয়র্কের সেনেকা ফলসে, ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনে আনুষ্ঠানিকভাবে নারীদের ভোটাধিকার আন্দোলন শুরু হয়।
শিক্ষাব্যবস্থা, গৃহস্থালী এবং রাজনীতিতে সমতার জন্য আন্দোলনের সূচনা হয় একই সময়ে। তবে তারা বুঝতে পেরে ছিলেন, বিশ্বাস করে ছিলেন যে সত্যিকারের সাম্যতা কেবলমাত্র ভোটের মাধ্যমেই সম্ভব।
১৯২০ সালের ১৮ই আগস্ট টেনেসিতে ১৯তম সংশোধনী অনুমোদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় এবং তার এক সপ্তাহ পরে অবশেষে তা আলোর মুখ দেখে। সংশোধনী অনুমোদনের মধ্যদিয়ে বনেদী শ্বেতাংগ মাহিলারা ভোট দেওয়ার অধিকার লাভ করেন। এই দীর্ঘ সংগ্রামের আলোর শিখা যারা জ্বেলে ছিলেন তাদের অন্যতম হচ্ছেন সুজান বি এন্থনী, আইডা বি ওয়েলস, ক্যারি চ্যাপমেন ক্যাট, চীনা বংশদ্ভুত নিউ ইয়র্কস সাফ্রেজ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা মেবেল পিং-হুয়া লী সহ আরও অনেকে। তবে এদের অনেকই ১৯২০ সালের চূড়ান্ত বিজয তাদের জীবদশায় দেখতে পারেননি। আর লী, সক্রিয়কর্মী হওয়া সত্বেও অভিবাসী ছিলেন বলে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ভোট দেওয়ার অধিকার পাননি। ১৯৬৫ সালেই ভোটিং অধিকার অ্যাক্ট পাশের মধ্যদিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাসহ ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সকল নারী ভোট দেওয়ার অধিকার পান।