কথা নয়, কাজ দিয়ে তালিবানকে বিচার করা হবে: যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন

তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের প্রথম সংবাদ সম্মেলন , ১৭ই আগস্ট ২০২১ (এএফপি)

ব্রিটেন ও  যুক্তরাষ্ট্র বলছে আফগানিস্তানের বিষয়ে একটি সমন্বিত কৌশল ঠিক করার বিষয়ে তারা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবে এবং তালিবান কি ভাবে দেশ পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে তাদের কাজটাই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র বলছে আফগানিস্তানের বিষয়ে একটি সমন্বিত কৌশল ঠিক করার বিষয়ে তারা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবে এবং তালিবান কি ভাবে দেশ পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে তাদের কাজটাই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য বলেন, “এই শাসকরা কি উপায় বেছে নেয় এবং কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা দিয়েই আমরা তাদের বিচার করবো , তাদের কথা দিয়ে নয়। আমরা দেখব, সন্ত্রাসবাদ, অপরাধ ও মাদক ব্যবসার ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আর সেই সঙ্গে মানবিকতা ও মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে তাদের কাজ”।

গতকাল মঙ্গলবার জনসন ফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে , “ মিত্রদের মধ্যে অব্যাহত ভাবে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় এবং আফগানিস্তান বিষয়ক নীতিতে গণতান্ত্রিক সহযোগীদের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে । তা ছাড়া ঝুঁকির মুখে পড়ে যাওয়া আফগান ও আফগান শরনার্থীদের মানবিক সাহায্য ও সহযোগিতা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপায় সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে তাঁরা আগামি সপ্তাহে জি-সেভেনের বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়েও সহমত পোষণ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান সংবাদদাতাদের মঙ্গলবার বলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালিবানের কাছে আশা করে যে তারা, “মৌলিক মানবাধিকার এবং জনগণের মর্যাদার বিষয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবে”। তিনি বলেন বাইডেন প্রশাসন সরাসরি তালিবানকে জানাবে যে কোন ধরণের কার্যকলাপের কি মূল্য দিতে হতে পারে কিংবা নিরুত্সাহিত করা হবে এবং আমাদের প্রত্যাশাই বা কি”।

এই বিবৃতির আগে তালিবান কর্মকর্তারা “ইসলামিক আইনের অধীনে” নারীদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সংকল্প ব্যক্ত করেন। আফগানিস্তানে এই উগ্রবাদী আন্দোলন যখন নিজেদের অবস্থান পাকা-পোক্ত করছে তখন তারা একটি “ সমন্বিত ইসলামি” সরকার গঠনেরও প্রত্যয় প্রকাশ করে।

( এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার থেকে পাওয়া )