গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দমনমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে, মঙ্গলবার ইরান, সিরিয়া এবং উগান্ডার এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউএস সামিট ফর ডেমোক্রেসি সপ্তাহ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জনগণের উপর নিপীড়নসহ দেশগুলোতে গণতন্ত্রের অবমূল্যায়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইরানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সহিংস দমন এবং সিরিয়ায় বেসামরিক লোকজন, ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মারাত্মক রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার সাথে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এইধরনের ক্রিয়াকলাপে জড়িত কালো তালিকাভুক্তদের সবরকম সম্পদকে যুক্তরাষ্ট্র অবরুদ্ধ করে, এবং সাধারণত আমেরিকানদের তাদের সাথে কোন রকম চুক্তি করতে বাধা দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের উপর রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জন্য দায়ী সিরিয়ার বিমান বাহিনীর দু’জন পদস্থ কর্মকর্তা , এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের তিনজন পদস্থ কর্মকর্তাকে ওয়াশিংটন কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
উগান্ডার সামরিক গোয়েন্দা প্রধান, মেজর জেনারেল আবেল কান্দিহোও তার অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন। তবে মঙ্গলবার উগান্ডার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তে হতাশ। তারা বলছে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী এবং কাউন্টার-টেররিজম স্পেশাল ফোর্সের বিশেষ ইউনিট, সেইসাথে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং ইরানের কট্টরপন্থী বাসিজ মিলিশিয়ার নেতৃত্ব দেয়া গোলামরেজা সোলেইমানিকে অভিযুক্ত করেছে। এছাড়া কারাগারে সংঘটিত ঘটনার জন্য দুটি কারাগার এবং একজন কারা পরিচালককেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি রক্ষার বিষয়ে ভিয়েনায় পুনরায় আলোচনা শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে, ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র সাইদ খাতিবজাদেহ যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "#ভিয়েনাটকস চলাকালীন অবস্থায়ও, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে পারেনা”।
ইরানের নতুন কট্টরপন্থী সরকারের ঢালাও দাবির প্রেক্ষিতে, ইউরোপীয় কর্মকর্তারা হতাশা প্রকাশ করায়, শুক্রবার আলোচনাটি বন্ধ হয়ে যায়।
ভিয়েনায় সপ্তম দফা আলোচনায়, এই প্রথম ইরানের পশ্চিমা বিরোধী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাঠানো প্রতিনিধিদের সাথে পূর্বে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি কি ভাবে পুনরুজ্জীবিত করা, যার অধীনে ইরান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির বিনিময়ে তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করেছিল সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।