হিংস্র মিচোয়াকনের মাদক চক্র থেকে বাঁচতে মারিয়া পালিয়ে ২,৫০০ কিলোমিটার (১,৫০০ মাইল) পথ পাড়ি দিয়ে মেক্সিকো সীমান্তের কাছে পৌঁছান, যেখানে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
৩৮ বছর বয়সী মারিয়া, ভয়াবহ কোভিড সংক্রমিত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের সহিংসতা এবং দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে, আরও অনেকের মতো, গত বছর জুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে নতুন জীবন গড়ার চেষ্টা করছে, যদিও বিশ্বব্যাপী কোভিড ১৯ মহামারীর কারনে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর দেশের সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেয়। এখন ওই সীমান্ত খুলে দেয়ার ফলে, মারিয়া সেখানে এক চিলতে আসার আলো দেখতে পাচ্ছে।
তিনি তিজুয়ানার একটি অস্থায়ী শিবিরে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “এখন আমি আশা করছি আমেরিকায় ঢুকতে পারবো”, যেখানে মারিয়ার মতো শত শত লোক সীমান্ত জুড়ে কয়েক মাইল উত্তরে আমেরিকা প্রবেশের অপেক্ষায় জড়ো হয়েছে।
“অপরাধী বলে নয়, আমরা সংগঠিত অপরাধ থেকে বাঁচতে এখানে এসেছি” বলছিল মারিয়া, যার আসল নাম তার অনুরোধে গোপন রাখা হয়েছে৷
তার বড় ছেলেকে গত বছর একটি নৃশংস গ্যাং তাদের দলে নিয়ে নেয়। আর তখনই শুরু হয় হুমকি ধামকি।
এই বছর তিনি, তার স্বামী, ছোট দুই বাচ্চা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সামান্য কিছু টাকা পয়সা নিয়ে, কোনোমতে সীমান্ত অতিক্রম করার আশায়, উত্তর দিকে রওনা হন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, বৈধ বাসিন্দা এবং কিছু অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া বাকী সকলের জন্য সীমান্ত বন্ধ থাকায়, তার পক্ষে কিছুতেই সীমান্ত পার হওয়া সম্ভব ছিল না এবং তাকে মেক্সিকো থেকেই তার আশ্রয়ের দাবি দাখিল করতে হয়েছিল। সেটা ছয় মাস আগের কথা।
সেখানে অপেক্ষা কালীন, তিনি নোংরা এবং জনাকীর্ণ এল চ্যাপারাল ক্যাম্পে অবস্থান করেন, যেখানে আরও কয়েক ডজন পরিবার ক্ষীণকায় তাঁবুতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।