যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ

২০২০ সালের ঘটনাবলীর ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০২০-এর বাংলাদেশ অংশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং সংবাদ মাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাপকভাবে সংকুচিত করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ঘটনাবলীর ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০২০-এর বাংলাদেশ অংশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং সংবাদ মাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাপকভাবে সংকুচিত করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেদনে, মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে বেআইনী এবং বিচার বর্হিভুত পন্থায় হত্যাকান্ড, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর উল্লেখযোগ্য ও বড়মাত্রায় সংকোচন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বলা হয়, অনেক সাংবাদিক সরকারের হয়রানি এবং নিপীড়নের ভয়ে সরকারের সমালোচনা করার ব্যাপারে স্বপ্রণোদিত সেন্সরশীপ আরোপ করেছেন।


প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যে, করোনাকালেও এই মহামারী মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনাকারীদের ব্যাপারেও এই আইনটির ইচ্ছামত ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া যদি কোন বক্তব্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যায়, কিংবা বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে অথবা জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা, শালীনতা কিংবা আদালত অবমাননা ও অপরাধের প্ররোচনা বলে তাদের মতে বিবেচিত হয়- এমন অজুহাতে সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

প্রতিবেদনে ইচ্ছামাফিক এবং আইন-বর্হিভুত আটক, ইন্টারনেটসহ এই মাধ্যমের ওপর এবং ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের ওপর হস্তক্ষেপ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার সক্রিয়বাদীদের প্রতি সহিংসতা, হুমকি ও খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তার, সভা-সমাবেশের ওপর বাধা-নিষেধ আরোপসহ মানবাধিকার লংঘনকারী নানা ঘটনাবলী সরকার ও তার সহযোগী কর্তৃপক্ষ ঘটিয়ে থাকে বলে এতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ


প্রতিবেদনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ওপর বেসামরিক কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে আদিবাসী এবং শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যক্রমের ওপর বাধা-নিষেধ এবং নারীর ওপর সহিংসতার বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।

তবে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা হয়নি।...ঢাকা থেকে আমীর খসরু

Your browser doesn’t support HTML5

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০২০