য়ুক্রেনের সর্ব সাম্প্রতিক পরিস্থিতি

য়ুক্রেনের দক্ষিনাঞ্চলবর্তী শহর সিমফিরোপৌলে আজ বুধবার রূশপন্থী বিক্ষোভকারী ও য়ুক্রেনের নতুন পশ্চিমপন্থী অন্তবর্তী নেতাদের পক্ষাবলম্বন করছে যারা সেই তাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাত পরিস্থিতির উদ্ভব হতে দেখা গিয়েছে।
বিক্ষোভরত প্রতিবাদীদের ঐ দু’ পক্ষের মধ্যে ছোটোখাটো সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে –কেউ কেউ এসবে আহত হয়েছেন,কিছু রক্তক্ষরণ হয়েছে-এবং এসব হতে দেখা গিয়েছে ক্রিমিয়ার ঐ রাজধানী শহরের প্রশাসনিক ভবনের চত্বরে।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের জনগোষ্ঠী প্রধানত: রূশভাসিদের নিয়েই গড়ে উঠেছে- যাদের সমর্থন রয়েছে রাশিয়ার প্রতিই,তবে এর মধ্যে আবার ছোটো একটি তাতার সম্প্রদায়ও আছে যারা রূশ বিরোধী বলেই প্রতিয়মান হয়।কয়েক সপ্তাহের ব্যাপক বিস্তৃত প্রতিবাদ বিক্ষোভের ফলোদয়ে রাশিয়ার প্রতি বন্ধু ভাবাপন্ন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হবার পর ৪ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের এ দেশটির ভেতর প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের বিভাজন মাথা চাড়া দিতে পারে বলে আশংকার উদ্রেগ হচ্ছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরী বলেছেন- প্রাক্তন প্রভূ মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে কোনো একটি বেছে নেওয়ার বাধ্যবাধকতায় দেশটিকে যেন যেতে না হয়।
য়ুরোপিয় য়ুনিয়নের তরফে উত্থাপিত বানিজ্য রফা প্রত্যাখ্যান করে মি:ইয়ানুকোভিচ রাশিয়ার পক্ষের অর্থনৈতিক সহায়তা গ্রহনকেই শ্রেয়তর গন্য করলে পর য়ুক্রেনে সরকার বিরোধি প্রতিবাদ বিক্ষোভ মাথা চাড়া দেয়।গত সপ্তাহে ঐ বিক্ষোভ তূঙ্গে ওঠে-প্রাণ হারায় কয়েক ডজন মানুষ।