ওয়াশিংটনে শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারা নির্বাচনের বিষয়ে প্রতিকুল অবস্থায়ও প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আইনি লড়াইয়ে তাঁকে সমর্থন করছেন। ট্রাম্প দাবি করছেন যে ভোট গ্রহণে ব্যাপক জালিয়াতি করা হয়েছে যা না হলে ডেমক্র্যাট জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রকাশিত বিজয় হতো না। মুষ্টিমেয় বর্তমান কয়েকজন রিপাবলিকান বিধায়ক এবং প্রাক্তন রিপাবলিকান কর্মকর্তাদের অনেকেই গত সপ্তায় জাতীয় নির্বাচনে বাইডেনের বিজয় স্বীকার করেছেন।
তবে শীর্ষ দু জন রিপাবলিকান বিধায়ক সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাকনেল এবং প্রতিনিধি পরিষদের নেতা কেভিন ম্যাকার্থী বলছেন ট্রাম্পের উচিত্ হবে না নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়া যখন তাঁর নির্বাচনী দল ভোট প্রদান এবং ভোট গণনার বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে মামলা করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দপ্তরে যখন জানতে চাওয়া হয় যে তিনি কি নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের টিমের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর করার বিষয়ে সহযোগিতা করবেন তখন তিনি বলেন, “দ্বিতীয় দফা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে নির্বিবাদেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে”।
এ পর্যন্ত ট্রাম্প অবশ্য ৫ টি আইনি লড়াইয়ে হেরে গেছেন এবং গোটা দেশে বিচারাধীন আরও সম্ভবত ডজন খানেক মামলা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে ট্রাম্প অবশিষ্ট মামলাগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে বিজয়ী হলেও, ভোট সংখ্যার সামান্য রদবদল সত্বেও বাইডেনের বিজয় ছিনিয়ে নেয়া যাবে না। রিপাবলিকান দলের ৩১ জন সাবেক সদস্য এক খোলা চিঠিতে ভোটে জালিয়াতির বিষয়ে ট্রাম্পের অভিযোগের নিন্দে করেছেন এবং তাঁকে পরাজয় স্বীকার করে নিতে বলেছেন। স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা বিভাগের প্রাক্তন চার জন প্রধান বলেছেন ট্রাম্পের এই আইনি লড়াইয়ের কারণে বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরণের এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়া উচিত্ নয়। বাইডেনও ভোট কারচুপির ব্যাপারে ট্রাম্পের দাবি অবজ্ঞা করে তাঁর প্রশাসনের প্রথম দিকের কাজ শুরু করে দিয়েছেন