সংক্রমণ রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধিঃ উদ্বিগ্ন টোকিওর কর্মকর্তারা

অলিম্পিকের আয়োজক নগরীতে রেকর্ড সংখ্যক করনাভাইরাস সনাক্ত হওয়ার একদিন পর, লোকেদের টোকিওর শিমবাশি স্টেশনের কাছে ক্রসিং পেরোতে দেখা যাচ্ছে। ২২ জুলাই, ২০২১।

বৃহস্পতিবার জাপানের কর্মকর্তারা হুশিয়ার করেছেন যে তৃতীয় দিনের মত টোকিওতে রেকর্ড-সংখ্যক মানুষ করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে শহরটিতে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

টোকিওতে বৃহস্পতিবার ৩,৮৬৫ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে যা বুধবার ছিল ৩,১৭৭।গত এক সপ্তাহে সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদের মূখ্য সচিব ক্যাটসুনোবু কাটো সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা এই মাত্রার সংক্রমণের হার আগে কখনোই দেখিনি।" তিনি জানান নতুন করে সংক্রমণের হার কেবল টোকিও অঞ্চলে নয় সারা দেশ জুড়ে বেড়েছে।

বুধবার দেশব্যাপী ৯৫০০ এর ও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।মহামারী শুরু হবার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৯২,০০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৫০০০।

অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায়, জাপান সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কম রাখতে সক্ষম হয়েছে।তবে টানা সাত দিনে গড় বৃদ্ধি পেয়েছে।জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে এখন দেশব্যাপী প্রতি ১০,০০,০০০ লোকের মধ্যে ২৮জন এবং টোকিওতে প্রতি ১০০,০০০ লোকের মধ্যে ৮৮জন আক্রান্ত হচ্ছে।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে জাপানের সঙ্গে তুলনা করলে এই সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্রে ১৮.৫, ব্রিটেনে ৪৮ এবং ভারতে ২.৮।

অলিম্পিক এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটির কথা উল্লেখ করে শীর্ষস্থানীয় সরকারী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডাঃ শিগেরু ওমি বলেন, "সংক্রমণের হার কিছুতেই কমানো সম্ভব হচ্ছে না।তবে বৃদ্ধির অনেক কারণই আছে।"

"সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হ'ল সংকটটি অনুভূব না করা। এর কারণে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং চিকিত্সা ব্যবস্থাকে মারাত্মক চাপের মধ্যে ফেলবে।"

অলিম্পিকের আগে টোকিও ১২ই জুলাই থেকে জরুরী অবস্থার মধ্যে ছিল।জনগণের বিরোধিতা এবং প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে অলিম্পিক।