দুইটি মডেলের গাড়ির ট্রাংক এবং সামনের হুড সম্পর্কিত সমস্যার কারণে টেসলা যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন থেকে ৬,৭৫,০০০ গাড়ি প্রত্যাহার করে নিয়েছে, যার ফলে জনপ্রিয় এই বৈদ্যুতিক গাড়িটির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার ৪,৭৫,০০০ গাড়ি চিহ্নিত করার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই চীনের নিয়ন্ত্রকেরা শুক্রবার প্রায় ২,০০০০০ গাড়ি প্রত্যাহারের বিষয়টি ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এবং চীনের নিয়ন্ত্রকদের মতে ট্রাংক এবং হুডের সমস্যাটি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে মডেল থ্রি এর ট্রাংকটি বারবার খোলা এবং বন্ধ করা হলে তা পিছনে দেখার ক্যামেরার একটি তারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্র্যাফিক সেইফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিসিএ) এর মতে মডেল এস এর সামনের হুডের কব্জাটিতে একটি ত্রুটির কারণে তা নিজে নিজেই আচমকা খুলে গিয়ে চালকের দৃষ্টি বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
টেসলার হিসেব অনুযায়ী সমস্যাটিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাহার করা গাড়িগুলোর মধ্যে মডেল থ্রি এর ১% ও মডেল এস এর ১৪% গাড়ির উপর এর প্রভাব পড়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি। অটোমোবাইল শিল্পে গণপ্রত্যাহারের বিষয়টি বিরল কোন ঘটনা নয়।
ডিজেলগেট কেলেঙ্কারী হিসেবে পরিচিত ঘটনায় ভক্সওয়াগনকে ২০১৫ সালে ৮৫ লক্ষ গাড়ি বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হয়। ঘটনাটিতে জার্মানীর কোম্পানীটি স্বীকার করে যে দূষণ নির্গমন পরীক্ষায় প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ ডিজেল গাড়িতে তারা অবৈধ পরিবর্তন বা ট্যাম্পারিং করেছিল।
জাপানের দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কোম্পানী টাকাটার তৈরি এয়ারব্যাগে ত্রুটি থাকার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো সারা বিশ্ব থেকে অন্তত ১০ কোটি গাড়ি প্রত্যাহার করে নেয়।
টেসলার প্রত্যাহার করা গাড়িগুলো ইলন মাস্কের নতুন এই কোম্পানীটির এখনও পর্যন্ত প্রস্তুত করা মোট গাড়ির এক চতুর্থাংশের সমান।
(এএফপি)