নববর্ষের ভাষণে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট চীনকে ‘সামরিক দুঃসাহসের’ বিরুদ্ধে সতর্ক করলেন 

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন নতুন বছরের ভাষণ দিচ্ছেন, পহেলা জানুয়ারি, ২০২২/ছবি /তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের দপ্তর

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের কাছে শনিবার চীনের জন্য একটি নববর্ষের বার্তা ছিল: সামরিক সংঘাত কোন সমাধান নয়, কিন্তু প্রত্যুত্তরে চীন কঠোর হুশিয়ারি দেয় যে তাইওয়ান যদি কোন সীমারেখা লঙ্ঘন করে তাহলে তার ফল হবে “গভীর বিপর্যয়”।

গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে চীন নিজেদের ভূখন্ড হিসেবে দাবি করে এবং সেখানে তাদের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে বিগত দুই বছরে সামরিক এবং কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করেছে।

ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত নববর্ষের ভাষণে শনিবার সাই বলেন, “আমাদের অবশ্যই বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যে তারা যেন পরিস্থিতিকে ভুলভাবে বিচার না করে এবং ‘সামরিক দুঃসাহসের’ অভ্যন্তরীণ বিস্তারকে রোধ করে”।

তাইওয়ানের দাবি তারা একটি স্বাধীন দেশ এবং বারবারই জানিয়েছে তারা নিজেদের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার তার নববর্ষের ভাষণে বলেন যে “মাতৃভূমির” সম্পূর্ণএকত্রীকরণের বাসনা তাইওয়ান প্রণালীর উভয় প্রান্তের মানুষই ধারণ করে।

সাই এর ভাষণের পর শনিবার, বেইজিংয়ের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র জু ফেংলিয়ান বলেন: “আমরা শান্তিপূর্ণ পুনঃএকত্রীকরণের সম্ভাবনা বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক”।

“কিন্তু যদি ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী’ বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীগুলো উস্কানী এবং জবরদস্তি চালিয়ে যায়, অথবা যদি কোন সীমারেখাও লঙ্ঘন করে, তাহলে আমাদের চূড়ান্তপদক্ষেপ নিতে হবে”।
জু আরও বলেন, স্বাধীনতার চেষ্টা তাইওয়ানকে শুধুই একটি “গভীর খাদে” নিক্ষেপ করবে এবং “গভীর বিপর্যয়”ডেকে আনবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং তাইওয়ান প্রণালীর উপর দিয়ে বারবার বিমান চালিয়ে নিয়ে গেছে। তাইওয়ান বলেছে যে তারা হুমকিতে মাথা নত করবে না।

{রয়টার্স}