অস্ট্রেলিয়ার সিডনির অধিবাসীরা আরও দু সপ্তাহের লকডাউনে থাকছে। এ দিকে কভিড-১৯ এর ডেল্টা প্রকরণের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেখানকার কর্মকর্তারা হিমসিম খাচ্ছেন। সিডনি বিমান বন্দরের একজন লিমোজিন গাড়ি চালক, যিনি আন্তর্জাতিক বিমান কর্মীদের পরিবহন করছিলেন এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে পজিটিভ হবার পর ২৬ শে জুন সেখানে প্রথম লক ডাউন আরোপ করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৮০০’র বেশি লোক সংক্রমিত হয়েছে, যার মধ্যে কেবল বুধবারই ৯৭ জন সংক্রমিত হয়। বর্তমান এই সংক্রমণে দু জন মারা গেছে।সেই শহরের ৫০ লক্ষ লোককে কেবলমাত্র কাজ, ব্যায়াম জরুরি বাজার এবং চিকিত্সার কারণে ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে তবে স্কুল এবং অত্যাবশকীয় নয় এমন দপ্তরগুলো বন্ধ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া কড়া লক ডাউনের মাধ্যমে কভিড ১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। জন্স হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের হিসেবে সেখানে মাত্র ৩১,৪২৯ জন সংক্রমিত হয়েছে, প্রাণহানির সংখ্যা ৯১২।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রেও নতুন করে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ হার বাড়ছে। অনেক কয়টি রাজ্য যেখানে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়ছে , তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য মিসৌরি রয়েছে। এ রাজ্যে টীকা গ্রহণ করেছে এমন মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে কম। প্রায় ৪৫% মিসৌরি বাসী কভিড-১৯ এর অন্তত একটি ডোজ গ্রহণ করেছে যা কীনা গোটা দেশের গড় অনুপাত ৫৫ শতাংশ থেকে অনেক কম। সেই রাজ্যের গ্রাম এলাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ, সেখানে ২৫% ‘এর কম মানুষ টীকা নিয়েছেন। সেন্ট লুই কাউন্টির কর্মকর্তারা বলছেন গত দু সপ্তায় সেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ৬৩% বেড়ে গেছে। মিসৌরির এই অবনতিশীল পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসন সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি “surge response team গঠন করেছেন যাঁরা করোনা পরীক্ষা এবং টীকা দানে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাহায্য করবেন। নতুন করে করোনাভইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য সাধারণ ভাবে টীকা গ্রহণে অনাস্থা এবং কোন কোন রাজ্যে রাজনৈতিক বিরোধীতাকে দায়ী করা হয়েছে।