সুদানের নিরাপত্তা বাহিনী ৪জন প্রতিবাদকারীকে হত্যা করেছে 

সুদানের প্রতিবাদকারীরা ৩০শে ডিসেম্বর ২৫শে অক্টোবর সামরিক অভ্যূথানে নিহতদের পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন, ছবি/এএফপি

চিকিৎসকদের সূত্রে জানানো হয়, সুদানের নিরাপত্তা বাহিনী বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ চলাকালে ৪ জন প্রতিবাদকারীকে গুলি করে হত্যা করে।লক্ষ লক্ষ প্রতিবাদকারী সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নিরাপত্তা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং যাতায়ত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

অক্টোবর মাসে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের বিরুদ্ধে দু মাসের অধিক সময় ধরে গণতন্ত্রপন্থী সক্রিয়বাদীরা রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের অংশবিশেষ, স্বতন্ত্র সুদান ডক্টরস কমিটি'র মতে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযানে এ যাবৎ ৫২জনের মৃত্যু হয়েছে।

কমিটি জানায় নিরাপত্তা বাহিনী তাজা গুলি ব্যবহার করে রাজধানী খার্তুম সংলগ্ন শহর, ওমদুরমানে ৪ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে ; হামলায় কয়েক ডজন লোক আহত হয়।

কমিটি আরও জানায় "প্রতিবাদ দমনকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তাজা গুলি ব্যবহার করছে এবং অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘটনাস্থলে আসতে বাধা দিচ্ছে, আমরা তাই চিকিৎসকদের ওমদুরমানের আরবেইন হাসপাতালে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি"।

কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় বিদেশে অবস্থানকারী সুদানের জনগণের উদ্দেশ্যে এই অনুরোধ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, যারা শক্তির ব্যবহারে সংযত হবার আবেদন জানিয়েছে, তারা প্রতিবাদকারীদের হত্যার নিন্দা এবং "সামাজিক মাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সুদানের নিরাপত্তা বাহিনীর উগ্র হামলার প্রতি তিরস্কার ব্যক্ত করে"।

জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি, ভোলকার পার্থেস এসব লংঘনের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন"।

ঝুঁকি উপেক্ষা করে প্রতিবাদকারীরা সুদানের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে "কোনো সামরিক শাসন নয়" স্লোগান তোলে এবং অসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানায়। নীল নদের সেতুগুলিতে ২৫শে ডিসেম্বরের প্রতিবাদের সময় অবরোধের সৃষ্টি করা হয়।তখন লক্ষ লক্ষ প্রতিবাদকারী বিক্ষোভে অংশ নেয়।

ডক্টরস কমিটি জানায় সে সব বিক্ষোভের সময় ২৩৫ জন আহত হয় এবং প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

সক্রিয়বাদীরা ১৯শে ডিসেম্বরের প্রতিবাদ চলাকালে যৌন নির্যাতনের নিন্দা জানান। জাতিসংঘ থেকে জানানো হয় সে সময় অন্তত ১৩ জন নারীও মেয়ে ধর্ষণ বা গণ-ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

(এএফপি)