ভারত সরকার প্রথমে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে পুনরায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আজ দিল্লিতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। এ সময় টিকা রপ্তানির বিষয়টি উঠে আসে।
ভারতে করোনা মহামারির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত এপ্রিল থেকে তারা বাংলাদেশসহ সব দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে অনেক দেশই বিপদে পড়ে। বাংলাদেশ বিকল্প পথ বের করে নেয় চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আমদানি করে। এখন ভারত থেকে টিকা এলে সব সংকটের অবসান স্থায়ীভাবে হয়। কারণ বাংলাদেশে এখনো টিকার ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে চীনের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনেও যাচ্ছে বাংলাদেশের একটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
শ্রিংলা সাংবাদিকদের বলেন, ভারতে এ মুহূর্তে টিকা উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতিদিন ১ কোটি ২৫ লাখ থেকে টিকা উৎপাদন ৩ কোটিতে পৌঁছেছে। ৮০ কোটি মানুষকে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৫০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামী মাসের মধ্যে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব শ্রিংলা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘ভারতে ভ্যাকসিনের উদ্বৃত্ত তৈরি হবে। তাই রপ্তানিতে কোনো জটিলতা তৈরি হবে না। আমরা বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠাতে সক্ষম হবো।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ উপহার ও বাণিজ্যিক চুক্তি অনুযায়ী ৩ কোটি ৩০ লাখ কোভিশিল্ড পেয়েছে। কিন্তু ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রপ্তানি বন্ধ হয় সব দেশের সঙ্গে। এতে বাংলাদেশ অনেকটা বিপাকে পড়েছিল। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে চীন থেকে টিকা আমদানিতে জোর দেয়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টিকা কূটনীতি স্থাপন করে চাহিদা পূরণ করতে শুরু করে।