ড্রোন থেকে মাটিতে ফেলে দেওয়া একটি ‘সফট’ রোবট, প্রথম প্রতিক্রিয়াকারী অর্থাৎ পুলিস, দমকল কর্মী অথবা বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী, যারা বিপদের সময় প্রথমেই আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, তাদেরকে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দমকলকর্মীরা কোনও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে যাওয়ার আগে তাদের "পরিস্থিতিগত সচেতনতা" সম্পর্কে অবহিত করার জন্য স্কুইশি নামের এই রোবটটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভিওএর সংবাদদাতা মিশেল কু্ইনের প্রতিবেদন থেকে জয়তী দাশগুপ্ত জানাচ্ছেন যে, এটিকে দেখে মনে হবে এমন একটি খেলনা যেটি বাউন্স করে। এটিকে স্কুইশি বলা হয় এবং এটি প্রাথমিক ভাবে মঙ্গলগ্রহে অথবা বা চাঁদে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে পৃথিবীতে সেই তথ্য যাতে ফেরত পাঠাতে পারে, সেইভাবে তৈরি করা হয়েছিল। এখন স্কুইশি দমকল বাহিনী, পুলিশের বিভাগ অথবা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে কুস্থলে বিপদগুলি সনাক্ত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্কুইশি রোবোটিক্স সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালিস অ্যাগোজিনো বলেন, " আমি অনুভব করেছি যে এটি যদি চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে কাজ করতে পারে, তবে আমি আমাদের গ্রহ পৃথিবীতেও কাজ করতে পারবে।" স্কুইশি বাচ্চাদের খেলনা স্কুইশ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এটি তথাকথিত "সফট রোবট" যা বাস্তব জীবনে যে কোন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে নিজেদের আকৃতির পরিবর্তন করতে পারবে এবং এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় সহজেই চলাফেরা করতে পারবে। স্কুইশি রোবোটিক্স সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালিস অ্যাগোজিনো আরও বলেন, "এই রোবট অনেক পাথরের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে পারে এবং এটি অনেক উচ্চতায় আরোহণও করতে সক্ষম।"
সিলিকন ভ্যালি রোবোটিক্সের, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অথবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্দ্রা কে বলেন, এই নরম রোবটগুলি এমন সব কাজ করতে পারে যা মানুষের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তিনি আরও বলেন, “আমি এই সংস্থাগুলি সম্পর্কে যেটা পছন্দ করি তা হ'ল তারা সমস্যাগুলিকে খুব ভালভাবে বিচার করে সমস্যাটা বুঝতে পারে এবং জনসাধারণের স্বার্থে একটা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে।” এক হাজার ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ে মাটিতে আঘাত করেও, স্কুইশি নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে নেয় যে তার কেন্দ্রীয় অংশে অর্থাৎ যেখানে ক্যামেরা এবং সেন্সরগুলি বসানো থাকে, সেই অংশটি যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এই ক্যামেরা এবং সেন্সরগুলি কোনপ্রকার গ্যাস অথবা রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি এবং এর থেকে সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি সনাক্ত করতে পারে, এবং প্রথম প্রতিক্রিয়াকারীদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতক করে দেয়, স্কুইশি রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই পরিস্থিতিগুলি সনাক্ত করে।
স্কুইশি রোবোটিক্স সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালিস অ্যাগোজিনো আরও বলেন, "আমরা তাপমাত্রা সংক্রান্ত একটি মানচিত্র তৈরি করব যাতে আপনি দেখতে পাবেন যে কোথায় কোন রাসায়নিক গ্যাসের বেশি ঘনত্ব রয়েছে, অর্থাৎ কোন স্থানে এর উপস্থিতি বেশী, এবং এটি আপনাকে উৎসটি কোথায় বা কোন দিক থেকে সেটি আসছে তাও আপনাকে বলে দেবে।”
এটি একটি নরম রোবট, যেটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে সমস্ত তথ্য প্রেরণ করে সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে দেয়।
Your browser doesn’t support HTML5