সোনি হ্যাকিং-এর জন্যে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেছে। উত্তর কোরিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, বলেছে, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাইতে হবে, নাহলে, তারা সাইবার যুদ্ধসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বনের হুমকি দিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, উত্তর কোরিয়া চীনা স্থাপনা ব্যবহার করে সোনি পিকচার্স কম্পানীর ওপর সাইবার হামলা চালিয়েছে কিনা তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে বিষয়ে তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র হুয়া সোমবার বলেছেন, চীন সব ধরনের সাইবার হামলার বিরোধিতা করে। পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ ছাড়া তারা কোন উপসংহারে পৌঁছবে না।
অবশ্য, হুয়া আরো বলেছেন, চীন, কোন দেশের স্থাপনা ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষের ওপর হামলা চালানোরও বিরুদ্ধে। তার সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সংলাপের জনে প্রস্তুত।
পিয়ং-ইয়ং-এর হামলা প্রতিহত করার লক্ষ্যে সাহায্যের জন্যে চীনের সঙ্গে কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ধরনের অনুরোধের জটিলতাও রয়েছে। কারণ, ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, চীনা সাইবার চৌর্যবৃত্তি আমেরিকার নিরাপত্তাসংক্রান্ত গোপনীয়তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। আমেরিকান কম্পানীগুলোকে প্রতিযোগীতামূলক বাজারে দুর্বল করেছে এবং আমেরিকার কর্মীদের চাকরি হারানোয় ভূমিকা রেখেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, তাদের পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র চলে যে কম্পিউটারের মাধ্যমে তাতে হ্যাক করা হয়েছে।
কোরিয়ার সরকার এবং পানি ও পারমাণবিক বিদ্যুত কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের ২৩টি পারমাণবিক চুল্লীর নিরাপত্তার ওপর ঐ সাইবার হামলার কোন নেতিবাচক প্রভাব নেই।
সন্দেহভাজন ঐ হ্যাকার একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ঐ পারমাণবিক চুল্লীগুলো সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি তিনটি পুরোনো চুল্লী বন্ধ করে দেয়া না হয় তাহলে, আরো তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে সে হুমকি দেয়।