পয়লা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় এবং স্টেট কাউন্সেলার আওন সান সূচি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং অন্যান্যদের জোর করে আটক করায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মিয়ান্মারে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি অব্যাহত সমর্থন দানের উপর জোর দেন। তাঁরা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়াকে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা, সহিংসতা থেকে বিরত থাকা এবং মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের উপর জোর দেন। তাঁরা মিয়ান্মারের জনগণের আগ্রহ এবং ইচ্ছে অনুযায়ী সংলাপ এবং বোঝাপড়ার বিষয়টিকে উত্সাহিত করেন।
Your browser doesn’t support HTML5
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ফ্লাইট আবার শুরু করাসহ নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে মানবিক সহায়তা জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার ও আহ্বান জানান।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বিশেষত এসোশিয়েশান অফ সাউথ এশিয়ান নেশনস ( আসিয়ান)সহ আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর প্রতি তাঁদের কড়া সমর্থন পুণর্ব্যক্ত করেন। তাঁরা রাখাইন রাজ্যে সংকটের মূল কারণের দিকে নজর দেয়ার প্রয়োজনীয়তা এবং স্থানচ্যূত মানুষদের স্বেচ্ছায় সসম্মানে টেকসই নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ব্যাপারে তাঁদের বক্তব্য আবারও ব্যক্ত করেন। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মিয়ান্মারের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, আঞ্চলিক সংহতি ও একতা সম্পর্কে তাদের কড়া প্রতিশ্রুতি আবার নিশ্চিত করেন।