জাতিসংঘের সম্পৃক্ততার পর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনন্দ মিছিল 

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্যে ভাসানচর দ্বীপে নির্মিত ভবন- ফাইল ফটো- এপি

ভাসানচরের অধিবাসীদের মানবিক উন্নয়ন ও দেখভালের দায়িত্বে জাতিসংঘ সম্পৃক্ত হওয়ার খবরে আনন্দ প্রকাশ করে মিছিল করেছে সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরনার্থীরা। ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে রবিবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তারা। পরে তারা রোহিঙ্গা ভাষায় গান ও কবিতা পরিবেশন করে। মিছিলে নানা বয়সের মানুষরা অংশ নেন। বিভিন্ন ক্যাম্পের নেতারা তখন উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, এমন একটি দিনের প্রতিক্ষায় ছিলেন সবাই। এখন আর কেউ ভাসানচর ছেড়ে পালাবে না। আর কক্সবাজার থেকে আসতেও কেউ আপত্তি করবে না।

জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের চুক্তির কারণে ভাসানচরে চিত্র বদলে যেতে শুরু করেছে। ভাসানচরের বর্তমান ১৮ হাজার অধিবাসীর সঙ্গে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্ত হবে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অধিবাসীরাও ইতিবাচকভাবে নিয়েছে ভাসানচরের বিষয়টি। এতদিন যাদের বুঝিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল এখন তারা স্বাভাবিকভাবে সেখানে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা যেভাবে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে কাজ করত, একই ভাবে কাজ করবে ভাসানচরেও। আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন মানবিক বিষয়গুলো নিয়ে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে আসছে। ভাসানচর নিয়ে শুরুর দিকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে ছিল জাতিসংঘ। চুক্তি সইয়ের পর সবকিছু বদলে গেছে।