বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর সাড়ে বারো লক্ষ মানুষ মারা যায়; যা অনেকাংশেই প্রতিরোধযোগ্য। ভয়েস অব আমেরিকার লিসা স্লাইনের তথ্য নিয়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রধান ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে রিপোর্ট করছেন সেলিম হোসেন।
Your browser doesn’t support HTML5
বিশ্বের ১৮০টি দেশের সকড়ক দুর্ঘটনার তথ্য থেকে দেখা যায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কিছুটা এখন স্থিতিশীল। বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার উর্ধগতি এবং তারই সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির পরও দুর্ঘঠনায় মৃত্যুর হার স্থিতিশীল হওয়া একটি ভালো খবর।
তবে ঐ সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ক রিপোর্টের ভয়ের তথ্য হচ্ছে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী মানুষদের মৃত্যুর প্রধান কারন হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে ধনী ও গরীব দেশগুলোর মধ্যে সড়কের নিরাপত্তা ও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক ফারাক দেখা যায়।
ঐ রিপোর্ট বলা হয় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৯০ শতাংশ ঘটে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশসমূহে। বিশ্বের ৫৪ শতাংশ যানবাহন ঐসব দেশসমূহে চলে। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার অসংক্রমন রোগ বিষয়ক বিভাগের প্রধান এটিয়েন ক্রুগ বলেন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হারে সারা বিশ্বে সবার ওপরে রয়েছে আফ্রিকা এবং দ্বিতীয় স্থানে মধ্যপ্রাচ্য।
তিনি বলেন মোট যানবাহনের মাত্র ২ শতাংশ চলে আফ্রিকায়; কিন্তু দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার সেখানে সর্বোচ্চ। সুইডেন যুক্তরাজ্য নেদারল্রান্ডস এর ন্যায় দেশগুলো নানা ধরণের আইন কানুন প্রয়োগ করে গত এক দশকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ নাময়ে এনেছে। এটি করতে তারা সবচেয়ে জোর দিয়েছে যে বিষয়গুলোতে তা হচ্ছে, গাড়ীর গতি নিয়ন্ত্রন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালানো বন্ধ করা, মোটর সাইকেল আরোহীদেরকে হেলমেট পড়া নিশ্চত করা, সীট বেল্ট ব্যাবহার ও শিশুদের জন্যে শিশু সীট ব্যাবহার।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। বিষয়টি নিয়ে আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলি।
এটিয়েন ক্রুগ বলেন গত ৩ বছরে ১৭টা দেশ সড়ক নিরাপত্তায় উন্নত করতে সমর্থ হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয় সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মোট মৃত্যুর ২৬ শতাংশ ঘটে বাইসাইকেল আরোহী ও পথচারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায়। এছাড়া বহু দেশে যানবাহনের ৮০ শতাংশ সেফটি ষ্ট্যান্ডার্ড নাই। গরীব দেশের দুর্ঘটনার ৫০ শতাংশই দায়ী গাড়ীর নিরাপত্তার মান সঠিক না থাকা।