রাহুল গান্ধীর কাজে সন্তুষ্ট নন ৪০ শতাংশ মানুষ, প্রাদেশিক নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত কংগ্রেস 

রাহুল গান্ধী- ফাইল ফটো- এএফপি

ভারতের উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, পাঞ্জাব আর গোয়াতে ভোট আসন্ন। এই সমস্ত ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে সমীক্ষা চালিয়ে উঠে এল নতুন তথ্য। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীর কাজে তাঁরা একেবারেই সন্তুষ্ট নন। ভোটের আগে এমন সমীক্ষা অস্বস্তি বাড়িয়েছে কংগ্রেস শিবিরে।

এবিপি সি-ভোটার সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীর কাজে নেতিবাচক মতামত দিয়েছে ৪০.৫ শতাংশ মানুষ। তাঁরা জানিয়েছেন রাহুল গান্ধীর কাজ করার ধরণে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। এছাড়া কংগ্রেস নেতার পক্ষে মত দিয়েছেন ১৮.৫ শতাংশ মানুষ।

সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীদের ২০.২ শতাংশ জানিয়েছেন রাহুল গান্ধীর কাজে তাঁরা কিছুটা সন্তুষ্ট। আর ২১ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চান না।

ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের ৬৯০টি কেন্দ্রে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ৯৮ হাজার ১২১ জন এতে অংশগ্রহণ করেছেন। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় জুড়ে সমীক্ষা চলেছে।

কংগ্রেসের চিন্তা বাড়িয়েছে পাঞ্জাবের সমীক্ষার ফল। কংগ্রেস সরকার থাকলেও সেই রাজ্যের ৫৩.১ শতাংশ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানুষ রাহুল গান্ধীর কাজে সন্তুষ্ট নন। পক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ৬.৭ শতাংশ।

রাহুল গান্ধীর বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি মত রয়েছে উত্তরাখণ্ড থেকে। সংখ্যাটা ৫৪.১ শতাংশ। এছাড়া মণিপুরে ২৭.৪ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৪৬.২ শতাংশ, এবং গোয়াতে ১৬.১ শতাংশ রাহুল গান্ধীর কাজে সন্তুষ্ট নন। ভোটের আগে কংগ্রেসের কাছে এই পরিসংখ্যান মোটেই সন্তোষজনক নয়।

এর মধ্যেই আগামী ১৬ অক্টোবর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন কেসি বেণুগোপাল।

ওই দিন সকাল ১০টায় ২৪ নম্বর আকবর রোডে বসবেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালারা। বাকি নেতারা ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেবেন।

আলোচ্য বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে পাঁচ রাজ্যের ভোট এবং নতুন সভাপতি নির্বাচন। এখানে বলে রাখা ভাল, ২২-এর গোড়ায় ভোট হতে চলা পাঁচ রাজ্যের মধ্যে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সরকার রয়েছে। কিন্তু সেখানে বিদ্রোহ চরম আকার নিয়েছে। ইতিমধ্যেই অমরেন্দ্র সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে চরণজিৎ সিং চান্নিকে বসানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর কংগ্রেসে থাকবেন না। এদিকে আবার সিব্বলরা আকণ্ঠ আকণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন ক্যাপ্টেনকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নবজ্যোৎ সিং সিধুকে নিয়েও ব্যাপক অস্বস্তি রয়েছে দলে।

ছত্তীসগড়েও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ভুপেশ বাঘেলকে সরাতে দিল্লিতে গিয়ে তাঁবু গেড়েছেন ৩৫ বিধায়ক।

গতবার যখন সিডব্লিউসি বৈঠক হচ্ছে তার আগে ২৩ নেতা বিস্ফোরক চিঠি দিয়েছিলেন সোনিয়াকে। কংগ্রেস সভানেত্রী তখন সদ্য আমেরিকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে ফিরেছিলেন। ওই সময়ে চিঠি দেওয়া নিয়ে সিডব্লিউসি বৈঠকে কপিল সিব্বলদের বিজেপির এজেন্ট বলেও কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল।